প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে মুম্বই উপকূল বরাবর মাঝসমুদ্রে আটকে পড়ল একটি বার্জ। তাতে আছেন কমপক্ষে ২৭৩ জন। সাহায্য এবং উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস কোচি।
ইতিমধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘তাউটে’। তা সোমবার সন্ধ্যায় আছড়ে পড়তে চলেছে গুজরাত উপকূলে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রীতিমতো বিপর্যস্ত মুম্বই। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকায়। আছড়ে পড়ছে সমুদ্রের বিশালাকার ঢেউ। মুম্বইয়ে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। তারইমধ্যে মুম্বই উপকূল বরাবর মাঝসমুদ্রে আটকে ওই বার্জটি।
ভারতীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বোম্বে হাই (বর্তমানে মুম্বই হাই নামে পরিচিত, যা তৈল উত্তোলনের ক্ষেত্র) এলাকার হীরা তৈলক্ষেত্র (মুম্বইয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৭০ কিলোমিটার দূরে) থেকে যাওয়া পি৩০৫ বার্জের থেকে সাহায্যের আর্জি পেয়ে তল্লাশি এবং উদ্ধার অভিযানে গিয়েছে রণতরী আইএনএস কোচি। যে বার্জে ২৭৩ জন আছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাউটের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য আরও কয়েকটি জাহাজকে তৈরি করা হয়েছে। যা ভারতের পশ্চিমের উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে।’
মৌসম ভবনের সাম্প্রতিক বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় আরব সাগরের উপর অবস্থান করছে 'তাউটে'। যা ক্রমশ গতি বাড়িয়ে গুজরাত উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আপাতত সেটি দিউয়ের দক্ষিণ-পূর্বে ১৮০ কিলোমিটার এবং মুম্বইয়ের দক্ষিণে ১৪৫ কিলোমিটারে দূরে অবস্থিত। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা ক্রমশ বাড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় গুজরাত উপকূলের কাছে পৌঁছাবে। তার আগে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ঝড়ের ব্যাপক দাপট থাকবে। দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তারপর সোমবার রাত আটটা থেকে রাত ১১ টার মধ্যে পোরবন্দর এবং মাহুভার মাঝখান দিয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় গুজরাত উপকূল পার করবে। সেই সময় ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়। কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে।