ব্যবসায়িক সাইরাস ইঞ্জিনিয়ারের পুত্র শাহরুখ ইঞ্জিনিয়ার নিজের প্রাণ কেড়ে নিলেন মুম্বইয়ের কোলাবাতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার তাজ ওয়েলিংটন মিউস-এর ১০ তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ৫৮ বছর বয়সি শাহরুখ। প্রাথমিক পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন শাহরুখ। এই নিয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন তিনি। পুলিশ বলে, শাহরুখের পরিবার কোনও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেনি।
কোলাবা পুলিশের মতে, শাহরুখ দুবাইতে কার্বনিক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেটি সমগ্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের খাদ্য গ্রেড ড্রাই আইস এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলেও রয়েছেন দুবাইতেই। গত ২৭ নভেম্বর শাহরুখের মায়ের জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষেই মুম্বই এসেছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে শাহরুখ তাজ ওয়েলিংটন মিউসে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। ইঞ্জিনিয়ার পরিবারের মালাবার হিলসের বাড়িটি সংস্কার করা হচ্ছে। এই কারণেই গত দুই মাস ধরে তাজ ওয়েলিংটনের ১০ তলায় থাকছিলেন তাঁরা। জানা যায়, নিজের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে নিজের ঘরে যান শাহরুখ। পরে সেই ঘরের বারান্দা থেকেই ঝাঁপ দেন তিনি। শাহরুখকে তাঁর বাবা সাইরাস এবং তাজ ওয়েলিংটনের অন্যান্য কর্মীরা দ্রুত বম্বে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে সেখানে চিকিৎসকরা শাহরুখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বাবা সাইরাস এবং বোন তাইনাজ মার্চেন্টকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে শাহরুখ গত কয়েক দিন ধরে মানসিক চাপে ছিলেন। কারণ তিনি তার ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। তিনি গত কয়েক মাস ধরে তাঁর কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারছিলেন না। এইসব কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন শাহরুখ।