একাধিক ক্ষেত্রে দেখা দেয় বিল না মেটানোর জেরে দেহ ছাড়ছে না বেসরকারি নার্সিংহোম।মঙ্গলবার রাজ্যসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীন পাওয়ার জানিয়েছেন, কোনও হাসপাতাল থেকে দেহ ছাড়তে আপত্তি জানাতে পারবে না। এনিয়ে রোগীর অধিকার রক্ষা আইন অনুসারে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পদক্ষেপ নিতে পারে।
এনিয়ে লিখিত বিবৃতি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জানানো হয়েছে রোগীর অধিকার রক্ষা করতে হবে। যদি কোনও মৃত ব্য়ক্তির পরিজনরা হাসপাতালের বিল পুরোপুরি শোধ করতে না পারেন তবে মৃতদেহকে হাসপাতালে আটকে রাখা যাবে না। এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবে করা যাবে না।
ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর ক্লিনিকাল এসটাব্লিশমেন্ট অনুসারে এই রোগীর অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলি সুরক্ষিত রয়েছে। পাবলিক ডোমেনে এই সংক্রান্ত তথ্য রাখা রয়েছে। ক্লিনিকাল এসটাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুসারে এই অধিকার সুরক্ষিত করা রয়েছে। বলা হয়েছে চার্টারের নির্দেশিকা অনুসারে কোনও রোগীর দেহ কোনও কারণ দেখিয়ে হাসপাতালে আটকে রাখা যায় না। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
রাজ্যসভার এমপি কার্তিকেয় শর্মা এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যসভায়। তার প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীন পাওয়ার একথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো রয়েছে। ক্লিনিকাল এসটাব্লিশমেন্ট অ্য়াক্ট অনুসারে যাতে রোগীদের অধিকার সুনিশ্চিত হয় সেব্যাপারে পরিষ্কার বলা রয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতে কোনও হাসপাতাল কোনওভাবেই রোগীদের এই অধিকারকে কেড়ে নিতে পারে না।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীন পাওয়ার আরও জানিয়েছেন, কোনও হাসপাতাল যদি মৃতের পরিবারের উপর কোনওভাবে জোর জুলুম করে তবে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে। ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরকার সবদিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
এদিকে বিল না মেটানোর জেরে একাধিক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে দেহ আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। এমনকী বিল না মেটানোর জেরে দেহ আইসিইউতে রেখে দেওয়ার নজিরও রয়েছে। আইসিইউতে দেহ রেখে বিল বৃদ্ধির নজিরও রয়েছে একাধিক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সমস্যায় পড়ে যান মৃতের পরিজনরা। এরপর সোনাদানা জমি বন্দক রেখে নার্সিংহোমের মোটা অঙ্কের বিল মেটানোর চেষ্টা করেন তারা। তবে এবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন তারা।