ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে মোদীর ছবি প্রসঙ্গে কটাক্ষ বিহারের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীর

জিতেন রাম মাঝি। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুস্থানী আবাম মোর্চারও সভাপতি তিনি। ফের বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তিনি। তাঁর কথায়, যদি কৃতিত্ব জাহির করার জন্য মোদীর ছবি টিকার সার্টিফিকেটে থাকতে পারে তবে অতিমারিতে যাঁরা করোনায় মারা যাচ্ছেন তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটেও মোদীর ছবি দেওয়া হোক। এটা যুক্তিযুক্ত হবে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই টুইটটিকে পরবর্তী সময়ে মুছে ফেলা হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির ছবি টিকার সার্টিফিকেটে দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন তিনি। সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাষ্ট্রপতির ছবি দেওয়ার ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন তিনি। তাঁর সংগঠনের দাবি, রাষ্ট্রপতির ছবি দিলে দলিতরাও টিকা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ পেতেন। প্রসঙ্গত ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে ছবি ছাপানো নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়েও টিকার সার্টিফিকেটে মুখ্য়মন্ত্রীর ভূপেশ বাঘেলের ছবি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে আপত্তি তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে কংগ্রেস অবশ্য এনিয়ে দোষের কিছু দেখছে না। তবে এনডিএ শরিক হিসাবে জিতেন রাম মাঝির এই মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী এর জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার পরেই ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকার পেছনে কী যুক্তি রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিকে গোটা ঘটনায় উচ্ছসিত আরজেডি শিবির। তাঁদের দাবি, আমরাও তো একই দাবি তুলছি। একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে যখন মুখ খুলেছেন তখন ওই ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুন। না হলে মানুষ ভাববে খবর করার জন্য আপনি এসব বলছেন। তবে বিজেপির দাবি, সকলের কাছেই এই সার্টিফিকেট একটি প্রামাণ্য নথি। গণতন্ত্রে সকলেরই কথা বলার অধিকার রয়েছে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য।