পুলিশ সূত্রে খবর, তেন্দু পাতার দরদাম নিয়ে স্থানীয় ঠিকাদার ও গ্রামবাসীদের মধ্যে একটি বৈঠক করার কথা ছিল মাওবাদীদের। সেই খবর কোনওভাবে পুলিশের কাছে চলে গিয়েছিল। মূলত মজুরি সংক্রান্ত সহ অন্যান্য ব্যাপারে মিটিংটি ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। আসলে এই সময় থেকে তেন্দু পাতা তোলার সময়। তেলেঙ্গানা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ইজারাদাররা এই সময় গড়চিরৌলিতে আসেন। তাদের নিয়েই মিটিং করার কথা ছিল। প্রতিবছর এই ইজারাদারদের প্রচুর প্রটেকশাল মানি দিতে হয় মাওবাদীদের, অভিযোগ এমনটাই। গত বছর জুন মাসে পুলিশ তেলেঙ্গানা থেকে মহারাষ্ট্রের পথে প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা সহ দুটি গাড়িকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। মাওবাদীদের দেওয়ার জন্য এই টাকা নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এবারও কী তেমনই মিটিং করার ছক ছিল মাওলাদীদের জেলা পুলিশ সুপার অঙ্কিত গোয়েল জানিয়েছেন, 'মৃত নকশালদের মধ্যে স্কোয়াড কমান্ডারও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার নেতৃত্বেই মিটিং করার কথা ছিল।' ‘আপাতত ১৫জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।’ জানিয়েছেন ডিআইজি সন্দীপ পাতিল।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা। একেবারে রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াই। একদিকে মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০ ইউনিটের নকশাল দমনে প্রশিক্ষিত জওয়ানরা। অন্যদিকে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই(মাওবাদী) সংগঠনের সক্রিয় সদস্যরা। ঘটনাস্থল মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি জেলার এতাপল্লির জঙ্গল। ১৫জন মাওবাদীকে খতম করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ১৩জনের দেহ। তার মধ্যে মাও নেতা কাসানসুর দালামেরও কি মৃত্যু হয়েছে? নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ