কীভাবে তাঁর আমলে দিল্লির শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার হয়েছে, তা বারেবারে প্রচারে তুলে ধরেছেন দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার সুফলও পেয়েছেন। দিল্লির নির্বাচনে আপ ঝড়ে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বিজেপি। আর সেই শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের রূপকার হিসেবে যাঁর নাম সবার প্রথমে উঠে আসে, তিনি হলেন অতিশি- অতিশি মারলেনা।
দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজে ইতিহাস নিয়ে পড়েছিলেন অতিশি। তারপর চলে যান অক্সফোর্ডে। সেখানে এডুকেশনাল রিসার্চে স্নাতকোত্তর করেন। পড়াশোনার শেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ছোট্ট গ্রামে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে ভোপালে যান। সেখানে জৈব কৃষি ও উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন : Delhi Election Result 2020: সহজ জয় কেজরির, জোরদার টক্করের পর জিত AAP মন্ত্রীদের
এরইমধ্যে ২০১২ সালে রাজধানীর বুকে তৈরি হয় আপ। 'শিক্ষিত'-দের দল হিসেবে পরিচিত দলে জন্মলগ্ন থেকেই ছিলেন। তখন থেকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল অতিশির কাঁধে। তবে ২০১৫ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন কেজরি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার পরামর্শদাতা হন অতিশি।
আরও পড়ুন : লোকসভা ভোটের পর একাধিক রাজ্যে ধাক্কা BJP, বিধানসভায় ফিকে মোদী-শাহর ক্যারিশমা?
তারপর থেকে অক্সফোর্ডের প্রাক্তনীর পরিকল্পনাতেই দিল্লির স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার শুরু হয়। ভোল পালটে যায় ধুঁকতে থাকা একাধিক স্কুলের। উদ্ভাবনী ও আধুনিক শিক্ষণও শুরু হয়। পড়ুয়াদের বোঝার ক্ষমতা পড়ানো হতে পারে। পরাদর্শদাতা পদে থাকার জন্য বেতন নিতেন মাসে মাত্র এক টাকা।
আরও পড়ুন : জন্মদিনে 'সেরা উপহার' পেলেন অরবিন্দ পত্নী সুনীতা
সেই অতিশিকেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু বড় হারের মুখে পড়েন। তা সত্ত্বেও এবার দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর উপর আস্থা রাখে আপ। জোরদার টক্করের পর কালকাজি থেকে বিজেপি প্রার্থী ধরমবীর সিংকে ১১,৩৩৩ ভোটে হারান তিনি। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, কেজরিওয়ালের নতুন ক্যাবিনেটে এবার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে চলেছেন অক্সফোর্ড প্রাক্তনী।
আরও পড়ুয়া : দিল্লিতে গভীর রাতে বিজয়ী আপ বিধায়ককে লক্ষ্য করে গুলি, নিহত দলেরই এক কর্মী