এক্সিট পোলেই স্পষ্ট হয়ে যায় মিরাক্যাল না হলে দিল্লিতে জিতবে না বিজেপি। তবুও সম্মানজনক ফলাফলের আশায় বুক বেঁধেছিলেন বিজেপি সমর্থক ও সদস্যরা। সকালে নির্বাচন কমিশনের সাইটে প্রথমে এল আপের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে বিজেপি। একসময় ২২ আসনে এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। হারছিলেন আপের দুই বড় মুখ মণীশ সিসোদিয়া ও অতিশি।
কিন্তু যত সময় গেল, ক্রমশই লড়াইয়ে দুরে ছিটকে যায় বিজেপি। একের পর এক মার্জিনাল সিট হাতের থেকে ফস্কে গেল। শেষ তিন রাউন্ডে মেকআপ করে জিতে গেলেন সিসোদিয়াও। দিনের শেষে তাই মানরক্ষার জন্য বিজেপির কাছে স্রেফ ভোট শতাংশের হিসাব। গতবারের ৩২.১৯ শতাংশ থেকে এবার ৩৮.৪ শতাংশ অবধি গিয়েছে ভোট শেয়ার। ছয় শতাংশ ভোট বাড়লেও সেই অনুপাতে বাড়েনি সিট। গতবারের তিন থেকে বেড়ে হয়েছে আট। আসলে কংগ্রেসের ভোটে কিছুটা থাবা বসাতে পারলেও আপের ভোট শতাংশ প্রায় অটুট। গতবারের ৫৪.৩৪ শতাংশ থেকে এবার সামান্য কমে ৫৩.৬ হয়েছে বটে, কিন্তু শেষ বিচারে তার কোনও প্রভাব পড়েনি।
বিজেপি দিল্লি প্রেসিডেন্ট মনোজ তিওয়ারি যদিও ওই বর্ধিত ভোটশেয়ারের কথা তুলেই মানরক্ষা করতে চাইছেন। বাস্তব যদিও বড়োই রুঢ়। সেই ১৯৯৮ সাল থেকে দিল্লি থেকে ক্ষমতার বাইরে বিজেপি। রাজধানীতে লোকসভায় মানুষের ভোট পেলেও বিধানসভায় ব্রাত্য কমল। সেই ট্রেন্ড বজায় থাকল এবারেও। চাণক্য শাহর কার্পেট বম্বিংয়েও কোনও বিদ্যুত্ চমকালো না। অন্ধকারেই থেকে গেল দিল্লি বিজেপির ভবিষ্যত।
এবারের ভোটকে কার্যত শাহিন বাগের ওপর রেফারেন্ডাম হিসাবে তুলে ধরেছিল বিজেপি। সেই রণনীতিতে কল্কে মেলেনি। শাহিন বাগ যেই বিধানসভার অন্তর্গত, সেখানে বড় ব্যবধানে হেরেছে বিজেপি। তবে শাহিন বাগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদল করছে না বিজেপি। মনোজ তিওয়ারি জানিয়েছেন যে বিজেপি এখনও শাহিন বাগে রাস্তা আটকে প্রতিবাদের বিরুদ্ধে।
নিজের ইস্তফা নিয়ে যদিও প্রশ্ন এড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু দিল্লিতে দলকে চাঙ্গা করতে কী করা প্রয়োজন, এখন সেটা ঠিক করাই বড় চ্যালেঞ্জ মোদী- শাহ ও জেপি নাড্ডার।