শুধুমাত্র হিন্দি আর ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে হবে নার্সদের। মালায়লম ভাষায় কথা বলতে পারবেন না নার্সরা। এরকমই ঘোষণা করেছিল দিল্লির গোবিন্দ বল্লভ পন্থ ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতাল। তবে এই ঘোষণার পরই শুরু হয়েছিল জোর বিতর্ক। আর তারপরই সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে হাসপাতালের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছিল, হিন্দি বা ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনও ভাষায় কথা বলা হলে 'গুরুতর পদক্ষেপ' নেবে গোবিন্দ বল্লভ পন্থ ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের কর্তৃপক্ষ।
এর আগে জিআইপিএমইআর-এর নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, জিআইপিএমইআর-এ কাজ করতে গিয়ে মালয়ালম ভাষা ব্যবহার করা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। রোগী আর কর্মীদের বেশির ভাগই এই ভাষা জানেন না। তাঁরা অসহায় বোধ করেন, এ নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই সব নার্সিং কর্মীদের শুধুমাত্র হিন্দি আর ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে হবে, নাহলে গুরুতর পদক্ষেপ করা হবে। পরবর্তীততে চাপের মুখে এই বিজ্ঞপ্তি ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল করতৃপক্ষ।
তবে এই বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই সরব হয়েছিলেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। একটি টুইটে তিনি লেখেন, 'এটা ভাবতে পারছি না যে, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নার্সদের নিজেদের মধ্য়ে মাতৃভাষায় কথা বলা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়, অমার্জিত, অপমানজনক আর ভারতীয় নাগরিকের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।' এদিকে সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধীও। তিনি টুইট করে লেখেন, মালায়লম ভাষা যেকোনও ভারতীয় ভাষার সমান। এই ভাষা বৈষম্য বন্ধ হোক।