জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া বা বিয়ে করার স্বাধীনতার বিষয়টি সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ করল দিল্লি হাই কোর্ট। পাশাপাশি উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, বিয়ের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিশ্বাস বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বিচারপতি অনুপ কুমার মেন্দিরাত্তা জানান, আইনত বিবাহিত কোনও দম্পতিকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য পুলিশকে সব ধরনের পদক্ষেপ করতে হবে। যদি সেই বিবাহিত দম্পতির পরিবার তাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, সেই ক্ষেত্রেও পুলিশকে পদক্ষেপ করতে হবে।
উচ্চ আদালত বলে, ‘আইন অনুসারে, বিবাহের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার বিষয়টি ভারতের সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদের অন্তর্নিহিত অংশ। এমনকি ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয়টি একজন ব্যক্তির জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতার উপর কোনও প্রভাব ফেলে না এবং এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর নির্ভরিত।’
অভিযোগকারীর দাবি অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাঁদেরকে অপহরণ করে। তাঁদের মারধর করে এবং কুড়াল দিয়ে তাঁর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে। এও অভিযোগ করা হয় যে ছুরিকাঘাতে গুরুতর ভাবে জখম করে স্বামীকে একটি ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই ব্যক্তির ভাই তাঁকে উদ্ধার করে এবং তাঁকে এইমস ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আবেদনকারীর স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সেই অভিুক্তরা জামিনের আবেদন করেন। সেই জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি চলাকালীন উচ্চ আদালত বলে, ‘জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিশ্বাস কোনও প্রভাব ফেলে না।’
অভিযোগকারীর দাবি, ২০২১ সালে দিল্লি পুলিশের কাছে সুরক্ষার দাবিতে আবেদন করেছিলেন তারা। তবে পুলিশ স্টেশন থেকে ফেরার পথেই তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর অভিযোগকারীর স্ত্রীর দিদা, বোন এবং মা নাকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ‘নির্দেশ’ দেন যাতে তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। অভিযুক্ত দিদা, স্ত্রীর বোন এবং মা উচ্চ আদালতের জামিনের আবেদন করেছিলেন।