বাজার থেকে পাকা ফল কিনলে কীভাবে জানবেন তা কৃত্রিম ভাবে না প্রাকৃতিক ভাবে পাকানো হয়েছে? সব ক্ষেত্রেই ফল বিক্রেতার কথাই বিশ্বাস করতে বাধ্য হন ক্রেতারা। তবে ফল বিক্রির জন্য অনেক সময়ই মিথ্যে বলে থাকেন বিক্রেতারা। এই আবহে এবার ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (এফএসএসএআই) দিল্লি হাই কোর্ট এমন এক ব্যবস্থা প্রণয়ন করার কথা বিবেচনা করতে বলেছে যেখানে ইথিলিন গ্যাস বা অন্যান্য কৃত্রিম মাধ্যমে পাকানো ফল বা শাকসবজির ওপর একটি ‘চিহ্ন’ থাকবে।
বিচারপতি রাজীব শাকধের এবং বিচারপতি তারা বিতাস্তা গাঞ্জুর একটি ডিভিশন বেঞ্চ এফএসএসএআইকে ফল, শাকসবজির পাকানো নিয়ে একটি বিস্তৃত ব্যবস্থা তৈরি করতে বলেছে। কৃত্রিম ভাবে পাকানো ফলের ক্ষেত্রে যাতে ক্রেতাকে সচেতন করা যায় তার জন্য তার ওপর ‘চিহ্ন’ রাখার নিয়ম আনার কথা বিবেচনা করতে বলেছে উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশের পর এফএসএসএআই-এর প্রতিনিধিত্বকারী আইজীবী বিচারপতিদের বলেছেন যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং নির্দেশিকাগুলি আদালতের সামনে পেশ করা হবে।
এম/এস এমএম এবং এম/এস এমভি নামক দুই সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতে শুনানি চলছিল। তখনই এফএসএসএআই-কে কৃত্রিমভাবে পাকানো ফল নিয়ে এই নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, মামলাকারী দুই সংস্থার অভিযোগ, শুল্ক কর্তৃপক্ষ তাদের এথেপন (ফল পাকানো বা কীটনাশক রাসায়নিক) বাজেয়াপ্ত করেছিল। কর্তৃপক্ষ নাকি দাবি করেছিল, কীটনাশক বোর্ড এবং নিবন্ধন কমিটির কাছ থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ না থাকার কারণেই সেই পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, কোনও কীটনাশক যদি অন্য কারণে (ফল বা সবজি পাকানোর জন্য) ব্যবহারের জন্য দেশে আমদানি করা হয়, তাহলে পার্মিট লাগবে। যদিও আবেদনকারীর দাবি, সরকার এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করতে পারে না, কারণ ১৯৬৮ সালের কীটনাশক আইনের অধীনে আমদানির ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। এই আবহে সাধারণ ক্রেতাদের কথা ভেবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।