সাত সপ্তাহে প্রথমবার। দিল্লিতে দৈনিক করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০০-র নীচে নামল। ওই সময়ের মধ্যে রাজধানীতে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত দিল্লিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩,৭৪৭। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৪ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এর আগে, গত ১ জুন দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৯০।
যদিও একটা সময় দিল্লির পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। তারপর কড়া কনটেনমেন্ট বিধি কার্যকর, এলাকাভিত্তিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে আপাতত অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজধানী। একইসঙ্গে দিল্লিতে সেরে উঠেছেন ১০৪,৯১৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩,৬৬৩ জনের। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১৫,১৬৬।
দিল্লি দিশা দেখালেও মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্নাটক, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে পরিস্থিতির উন্নতির তেমন কোনও লক্ষণ মিলছে না। বরং গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে আরও ৮,২৪০ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ১৭৬ জনের। সবমিলিয়ে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৮,৬৯৫। যদিও গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। গুজরাতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৯৯৮ জন আক্রান্ত হওয়ায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০,০০০-এর কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
তবে বিহারের পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিহারে একটি কেন্দ্রীয় দলও পাঠানো হয়েছে। সেই দলের প্রতিনিধিরা পাটনা এবং গয়ার কনটেনমেন্ট জোন এবং করোনা হাসপাতাল ঘুরে দেখেছেন। আরও কার্যকর উপায়ে করোনা মোকাবিলার জন্য কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং এবং টেস্টিংয়ের উপর জোর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় দল। তবে তাদের আশঙ্কা, বিহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। এমনিতেই মঙ্গলবার বিহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭,৬৪৬। মৃত্যু হয়েছে ২১৭ জনের।