বুধবার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটেও বিগত কয়েক বছরের মতোই ডিজিটাল ভারতকে সামনে রেখে ট্যাব থেকেই বাজেট পেশ করছেন তিনি। এবং সেই ট্যাব তিনি নিয়ে এলেন ‘বই-খাতা’ স্টাইলের ব্যাগের ভিতরে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই ‘বই-খাতা’ বারবার আলোচনায় ফিরে এসেছে বাজেটের সূত্রে। দেখে নেওয়া যাক, কেন।
ভারতের বাজেট পেশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী হিসাবে ছিল চামড়ার ব্রিফ কেস। এমনকী ‘বাজেট’ শব্দটির সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে এই চামড়ার অ্যাটাচি কেসের। ফরাসি শব্দ ‘বাগেট’-এর মানে চামড়ার ব্রিফ কেস। আর সেখান থেকেই বাজেট শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে এই ধরনের অ্যাটাচি কেস।
দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রক্রিয়া চলে আসার পরে ২০১৯ সালে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রথম বার সেই অ্যাটাচি কেস বাদ দেন। এবং প্রকৃত অর্থে বই-খাতা হাতে নিয়ে বাজেট পেশ করতে আসেন। ২০২০ সালে তিনি জানান, ঔপনিবেশিক রীতির অংশ এই চামড়ার অ্যাটাচি কেস। সেটি বাদ দিয়ে তিনি ‘বই-খাতা’র মাধ্যমে বাজেট পেশ করার রীতি নিয়ে এসেছেন সেই কারণেই।
এর পরে কাগজ-বিহীন বাজেট পেশের রীতি শুরু হয়। এবং সেখানে বই-খাতার ব্যাগের ভিতরে চলে আসে ডিজিটাল ট্যাব। আগামী দিনে ডিজিটাল দুনিয়াকে মাধ্যমকে করে ভারত এবং ভারতের অর্থনীতি এগিয়ে যেতে চাইছে। সেখানে নির্মলা সীতারামনের এই বাজেট পেশের রীতিকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এক দিকে যেমন খেরোর খাতার মতো করে বই-খাতার পুরনো রীতি, তেমনই তার ভিতরে ভবিষ্যতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ডিজিটাল যন্ত্র— সব মিলিয়ে অর্থমন্ত্রীর এই নতুন রীতি ভারতবাসীর আলোচনায় থাকছে প্রতি বছরই।