বিজ্ঞানীদের ৪০ বছর অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। শীঘ্রই ভিনগ্রহীদের থেকে একটি বার্তা পাওয়ার আশা করছেন তাঁরা। বার্তাটি জাপানি জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাসাকি মরিমোটো এবং হিসাশি হিরাবায়াশি এমন একটি নক্ষত্রের কাছে পাঠিয়েছিলেন, যেখানে কোনও গ্রহ নেই বলে মনে হয়। মানুষ কেমন প্রাণী এবং পৃথিবীতে জীবন কীভাবে কাজ করে তা দেখানোর উদ্দেশ্যে বার্তাটি তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এটি পাঠানো হয়েছিল ১৬.৭ আলোকবর্ষ দূরে। ১৫ অগস্ট, ১৯৮৩ সালে এই ঘটনাটি ঘটে।
(আরও পড়ুন: মহাকাশ দেখাতে রওনা দিল প্রথম বেসরকারি যান, কারা সওয়ারি হলেন জানেন)
এখন নতুন কী হচ্ছে? হালে হিয়োগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিনিয়া নারুসাওয়ার নেতৃত্বে এক দল একটি বড় জাপানি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে চেষ্টা করছে কিছু বার্তার উত্তর ফেরত পাওয়া যাচ্ছে কি না। তাঁরা ২২ অগস্ট এই মহাকাশ থেকে আসা বার্তাগুলি গ্রহণ করেছেন। এবার তার বিশ্লেষণ করে বোঝা যাবে, কোনও ভিনগ্রহীর অস্তিত্ব আছে কি না।
(আরও পড়ুন: ‘চাঁদের গর্ত’-এ নাকি রাস্তা, বাড়িঘর! কানাডার স্পেস এজেন্সির ছবিতে রসিকতার ঝড়)
শিনিয়া নারুসাওয়া বলেছিলেন, তিনি আশাবাদী যে ভিনগ্রহীরা কোথাও না কোথাও আছে এবং এই বার্তাটি সত্যিই এলিয়েনদের দিকেই পাঠানো হয়েছে।
‘1990 এর দশক থেকে বিপুল সংখ্যক এক্সোপ্ল্যানেট সনাক্ত করা হয়েছে,’ তিনি জাপানি সংবাদপত্র দ্য আসাহি শিম্বুনকে বলেছেন। ‘আল্টেয়ারের এমন একটি গ্রহ থাকতে পারে যার পরিবেশে জীবন টিকে থাকতে পারে,’ এমনই জানিয়ে ছিলেন তিনি।
(আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কাণ্ড! মানুষের খুলি এমনটাও হয়? চিনে পাওয়া নমুনা ঘিরে ধাঁধায় বিজ্ঞানীরা)
২০০৮ সালে, হিসাশি হিরাবায়াশি স্বীকার করেছিলেন যে, মদ্যপান করতে করতেই তাঁদের দু’জনের মাথায় এই রকম একটি পরিকল্পনা আসে। কিন্তু পরে তাঁকরা ভেবেচিন্তে দেখেন, এমন একটি বার্তা পাঠানো সত্যিই সম্ভব। এবং তা থেকে বোঝা সম্ভব এই বিরাট বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আমরা সত্যিই একা, নাকি আমাদের সঙ্গী আরও কেউ আছে।
‘আমি ভিনগ্রহীহের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি। কিন্তু এটাও জানি, তাদের খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন,’ বলেছিলেন ওই বিজ্ঞানী। তবে তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন। তাঁর বক্তব্য, চেষ্টা চালালে এমন কিছুর সন্ধান পাওয়া যাবেই। আর এবার তাঁর প্রশ্নের উত্তরও তিনি পেতে চলেছেন বলে আশা।