উৎকর্ষ আনন্দ
নিছক মামলা মোকদ্দমা নিয়ে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত হবে না বিচার ব্যবস্থাকে নিষ্ক্রিয় করে তোলা। কেন্দ্রের মালিকানাধীন টেলিকম কোম্পানি ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (BSNL) একটি আবেদন খারিজ করে একথা জানিয়েছে কোর্ট।
‘সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানগুলির থেকে যে পরিমাণ মামলা মোকদ্দমা এখানে আসে তার পরিমাণ অনেকটাই। কেন বিএসএনএলকে ৯ লাখের সালিসির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আসতে হয়?’ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ে নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন একথা বলে এক পর্যবেক্ষণে। বিএসএনএলের সালিসি মামলায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে, কোর্ট বলে, এই মামলায় সালিসি সংক্রান্ত প্রাপ্তি বিএসএবএলের বিপক্ষ রাইটস লিমিটেড পাবে, এই কথা তো আগেই মাদ্রাজ হাইকোর্ট বলেছে। উল্লেখ্য, এই রাইটস লিমিটেড হল একটি পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং। উল্লেখ্য, এই আর্থিক প্রাপ্তি বিএসএনএলের সঙ্গে রাইটস লিমিটেডের কনসালটেন্সি নিয়ে যুক্তির প্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক হয়েছে। উল্লেখ্য এই মামলার শুনানির বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এদিন ছিলেন বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালা, মনোজ মিশ্ররা। এদিনের মামলার শুনানিতে কোর্ট বলে, ‘আর আদালত হলো আদালত...প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন আটকে রাখেন? এই ধরনের প্রতিটি মামলায়, একটি আদালতকে প্রতিটি পর্যায়ে কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে। এবং আপনারা আপিলের পর আপিল ফাইল করতে থাকেন। দয়া করে, এই ধরনের পিটিশন ফাইল করা বন্ধ করুন।’
উল্লেখ্য, এর আগে, ২০১৭ সালে দেশের বিচারব্যবস্থা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রক সরকারি মামলা মোকদ্দমার সংখ্যা কমানো নিয়ে একটি ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করে। সেখানে দেখা যায়, যে সংখ্যক মামলা আদালতে পড়ে রয়েছে, তারমধ্যে ৪৬ শতাংশই হল সরকারি মামলা। প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই সংসদে উত্থাপিত একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের দেওয়া একটি বিবৃতি অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকারের ৫৬টি মন্ত্রকের মধ্যে অর্থ ও রেলপথ মন্ত্রক শীর্ষে রয়েছে মামলার নিরিখে। উল্লেখ্য, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, ও নিম্ন আদালতগুলিতে কেন্দ্রের তরফে ডিপার্টমেন্ট অফ লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স মামলা দেখভাল করে থাকে। সেই মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালে ৫৪, ৩৫,৪৯,০১৫ টাকা শুধু খরচ হয়েছে এই মামলাগুলির জন্য।