সদ্য রবিবার ছিল ছট পুজোর ষষ্ঠী। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে বিহার সহ বহু রাজ্যে সাড়ম্বরে উৎসব পালনের ছবি উঠে আসে। এদিকে উৎসবের দিনে বিহারে বড়সড় দুর্ঘটনা দেখা যায়। বিহারের সাত জেলায় ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় মোট ১৩ জনের জলে ডুবে মৃত্যুর খবর উঠে আসে ছট পুজো ঘিরে। রবিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলি ঘটে যায়।
সাত জেলায় ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিহারে ছট পুজোর আবহে শোকের ছায়া দেখা যায়। উল্লেখ্য, কঠিন উপবাসের পর জলাশয়ে গিয়ে বিভিন্ন রীতি পালন করে উদযাপিত হয় ছট উৎসব। আর এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যেই বিহারে প্রতি বছরই ব্যাপক জমায়েত দেখা যায় জনমানসে। এদিকে, বিহারের এই ঘটনায় পাটনা, খাগরিয়া, সমষ্টিপুর, সহরসা, দরভাঙ্গা, মুঙ্গেরে মৃত্যুর খবর উঠে আসে। এছাড়াও মৃত্যুর খবর উঠে আসে বেগুসরাই থেকেও। সোমবার বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ (ডিএমডি) একথা জানিয়েছে। তথ্যে জানা গিয়েছে, পাটনা জেলায়, সকাল ৮.১৫ মিনিটের দিকে ব্রহ্মপুর এলাকায় একটি পুকুরে তিনজন ডুবে মারা গিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগরিয়ায় চৌথাম ও পার্বতা এলাকায় পৃথক দুটি ঘটনায় জলে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রবিবার থেকে দারভাঙ্গা ও সমস্তিপুর জেলায় দু'জন এবং বেগুসরাই, মুঙ্গের ও সহরসা জেলায় একজন ডুবে মারা গিয়েছেন। তবে এই ১৩ জন মৃতের পরিচিতি এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, কার্তিক মাসের বিশেষ তিথিতে পালিত হয় ছট পুজো। কার্তিক শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে ছট উৎসব পালিত হয়। তবে এটি চতুর্থী তিথি থেকে স্নান এবং খাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় এবং সপ্তমী তিথিতে উপবাস ভঙ্গ হয়। এই বিশেষ উৎসব মহাপর্ব ছট চার দিন ধরে চলে। লোকমতে বিশ্বাস, সূর্য দেবতার বোন ঊষা, প্রকৃতি, জল, বায়ু এবং ষষ্ঠী মাকে উৎসর্গ করে এই বিশেষ পুজোর রীতি চলে। ছট উৎসব চার দিন ধরে চলে এবং ভক্তরা ৩৬ ঘন্টা জলহীন উপবাস রাখেন। চলতি বছরে এই উৎসব শুরু হয়েছে ১৭ নভেম্বর। আর তা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলেছে।