খারাপ আবহাওয়ার জন্য প্রায় দুই ঘণ্টা পরে শুরু হয় আলোচনা। প্রায় সাডে় তিন ঘণ্টা ধরে ভারত ও চিনের কম্যান্ডারদের মধ্যে আলোচনা হল লাদাখের অচলাবস্থা নিয়ে। চিনের মলডোয় এই বৈঠকের পর ফিরে আসেন ভারতীয় সামরিক দল। সরকারি ভাবে কিছু সেনা এখনও জানায়নি। তবে সূত্রের খবর, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
ভারতীয় দলের নেতৃত্ব করছিলেন এলটি জেনারেল হরিন্দর সিং, যিনি ১৪ কর্পসের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং। টিবেট মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের কম্যান্ডার ছিলেন চিনের দলের প্রধান। পিটিআই এক বরিষ্ঠ সামরিক অফিসারের সূত্রে জানতে পেরেছে যে ইতিবাচক পরিবেশে আলোচনা হয়। দুই দলের মানসিকতাই ইতিবাচক ছিল।
সকাল সাড়ে আটটায় আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। খারাপ আবহাওয়ার জন্য প্রায় তিন ঘণ্টা বাদে শুরু হয় বৈঠক। ভারতীয় প্রতিনিধদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় বলেই পিটিআই সূত্রের খবর। সরকারি ভাবে যদিও সেনা বা বিদেশমন্ত্রক, কেউই কিছু জানায়নি।
এর আগে স্থানীয় কম্যান্ডারদের মধ্যে ১২ দফা কথা ও মেজর জেনারেল পদের অফিসারদের মধ্যে তিন দফা কথায় কোনও সমাধানসূত্র আসেনি। সেই কারণে এবার থ্রি স্টার জেনারেল- লিউট্যানেন্ট জেনারেল পর্যায় আলোচনা হল।
এর আগের দিনেই কূটনৈতিক স্তরের বৈঠকে দুই পক্ষই বলে যে বিভেদ যেন বিবাদে না বদলে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জানা গিয়েছে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো ও গোগরায় পুরনো পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছে ভারত।
চার জায়গায় ভারত ও চিনের সেনা একেবারে সামনা সামনি দাঁড়িয়ে আছে। এলএসি পেরিয়ে কিছু চিনা সেনা ভারতে এসে গিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন রাজনাথ সিং। তাদের কী ভাবে ফেরত পাঠানো যায় ও সীমান্তে আগের পরিস্থিতি আনা যায় উত্তেজনা বৃদ্ধি না করে, এখন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে।