মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে লেখা একটি চিঠি। তার জেরেই নড়েচড়ে বসল পুরো সরকারি কাঠামো। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনও কর্মী মারা গেলে, তাঁর পরিবারকে তৎক্ষণাৎ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। সেই সংক্রান্ত তোড়জোড় এবার শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে দশ লাখ টাকা করে মৃতের পরিবারকে দেওয়া হয়।
এই সংক্রান্ত সমস্যার কথা গত মাসে উঠে আসে যখন মৃত সিআরপিএফ জওয়ান রমেশ কুমারের স্ত্রী চিঠি লেখেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনরকে। প্রমীলা দেবী চিঠিতে লেখেন যে তাঁর স্বামী ২০০২ সালে কাশ্মীরে ভোটের সময় মারা যান। কিন্তু ১৮ বছর ধরে তিনি ক্ষতিপূরণ পান নি। জম্মু-কাশ্মীরের ইলেকটরাল অফিসার কোনও যোগাযোগ করেননি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে প্রমীলা দেবীর কাছে চিঠি লেখেন। ২০০২ সালে ৫ লাখ টাকা প্রাপ্য ছিল শহিদের পরিবারের, কিন্তু পুরো ঘটনাটির কথা বিবেচনা করে প্রমীলা দেবীকে কুড়ি লাখ টাকা দেয় ইসি।
এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই জন্য সমস্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি লিখেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এটিকে সংবেদনশীলতার অভাব ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার একটি উদাহরণ বলে বিবেচিত করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন যে সবাই যেন ডেটবেস চেক করে এরকম আর কোনও কেস আছে কিনা, দেখার জন্য।
সূত্রের খবর, কাশ্মীরে এরকম দুটি কেস পাওয় গিয়েছে ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইসি এবার এটা বিবেচনা করছে কি ভাবে কোনও মৃৃত্যুর খবর পেলেই দ্রুত পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া যায়।