গ্যাংস্টারকে ধরতে হানা, উত্তরপ্রদেশে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু DSP-সহ ৮ পুলিশকর্মীর

ডাকাতি, অপহরণ, খুন-সহ তার বিরুদ্ধে ৬০ টি মামলা রয়েছে। ব্যক্তিগত সেনাও (আর্মি) রাখে সে।

এলাকায় পুলিশ (বাঁদিকে), ডানদিকে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে (ছবি সৌজন্য পিটিআই এবং সংগৃহীত)

কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে গ্রেফতারের জন্য হানা দিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় পুলিশের উপর গুলি চালায় সেই গ্যাংস্টারের দলের পান্ডারা। তার জেরে মৃত্যু হল আটজন পুলিশ আধিকারিকের। তাঁদের মধ্যে একজন ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ট এবং তিনজন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের।

বিকাশ দুবে নামে ওই গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৬০ টি মামলা রয়েছে। তারইমধ্যে এক গ্রামবাসী বিকাশের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই এফআইরের ভিত্তিতে কানপুর জেলার চৌবেপুর থানার অধীনে বিকরু গ্রামে হানা দেয় পুলিশ।

একইসঙ্গে বিএসপি নেতা পিন্টু সেনগারকে খুনের ঘটনায় জড়িত ভাড়াটে শুটারদেরও খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। তারা বিকরু গ্রামেই গা ঢাকা দিয়ে আছে বলে খবর পায় পুলিশ। গত ১৮ জুন কানপুরের চাকেরিতে খুন হয়েছিলেন পিন্টু। খুনের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে কানপুর পুলিশ।

সেইমতো বিকরু গ্রামে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করে পুলিশ। কিন্তু কোনওভাবে সেই খবর আগে থেকেই বিকাশ পেয়ে গিয়েছিল বলে অনেকের দাবি। তাই আগেভাগেই একটি মাটি খননের যন্ত্র দিয়ে গ্রামের রাস্তা রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলের দিকে পুলিশের সেই দলটি এগোলে তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় বিকাশের দলবল।

রাজ্য পুলিশের ডিজি এইচ সি আওয়াস্তি বলেন, 'পালটা জবাব দেওয়া হয়। কিন্তু অপরাধীরা উঁচু জায়গা থেকে গুলি চালাচ্ছিল। ফলে আমাদের আটজন মারা গিয়েছেন।' ডেপুটি পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র মিশ্র, শিবরাজপুরের স্টেশন অফিসার মহেশ যাদব, সাব-ইন্সপেক্টর অনুপ কুমার, বাবুলাল, কনস্টেবল সুলতান সিং, রাহুল, জিতেন্দ্র এবং বাবলুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পুলিশকর্মী।

পুলিশ জানিয়েছে, বিকরু থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নিবাদা গ্রামে বিকাশের দলের দু'জনকে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ করা হয়েছে। জেরার জন্য বিকাশের জামাইবাবু দীনেশ ত্রিবেদীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

উত্তরপ্রদেশের দীর্ঘদিন ধরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই বিকাশ। ডাকাতি, অপহরণ, খুন-সহ তার বিরুদ্ধে ৬০ টি মামলা রয়েছে। ২০০১ সালে শিভলি থানার মধ্যে বিজেপি নেতা সন্তোষ শুক্লা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিকাশই। সেই ঘটনায় দু'জন পুলিশকর্মীরও মৃত্যু হয়েছিল। পরে সে নিম্ন আদালতে ছাড়া পায়। ২০০০ সালে একটি কলেজের অধ্যক্ষের খুনের ঘটনায় চল্লিশের কোঠায় বিকাশের নাম জড়িয়েছিল। বিকরু গ্রামের গ্যাংস্টার বিকাশ নিজের ব্যক্তিগত সেনাও (আর্মি) রাখে।