মহাজাগতিক রশ্মিকে পরীক্ষা করার জন্য় চিন পদ্মের আকৃতিক উপগ্রহ ছাড়ল মহাকাশে। এই স্যাটেলাইটের ওজন প্রায় ১.৪ টন। এক্কেবারে ফুটন্ত পদ্মফুলের মতো দেখতে। ১২টি পাপড়ি যেন ছড়ানো রয়েছে। এই মহাকাশে যে মহাজাগতিক রশ্মির বিচ্ছুরণ হয় তারই পরীক্ষা করবে এই স্য়াটেলাইট।
এই নতুন স্যাটেলাইটের নাম আইনস্টাইন প্রোব। নতুন এক্স-রে ডিটেকশন টেকনোলজিকে ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে এই নয়া স্যাটেলাইট।
বেজিংয়ের স্থানীয় সময় ৩টে বেজে তিন মিনিটে সিচুয়ান প্রদেশ থেকে এই উপগ্রহ উৎক্ষেপন করা হয়েছে। জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি সূত্রে খবর।
এটা মূলত মহাকাশের যে বিষয়গুলি এখনও অজানা থেকে গিয়েছে সেদিকেই আলো ফেলবে। বিস্তৃত এক্সরে টেলিস্কোপ সংযুক্ত করা রয়েছে এই ১২টি পাপড়ির সঙ্গে। ঠিক যেন ফুটন্ত পদ্মফুল। এই পদ্মফুল আকৃতির উপগ্রহ দিয়েই মহাকাশের গবেষণা করা হবে।
ভারত যেমন সৌর গবেষণায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। এবার চিন মহাজাগতিক রশ্মির রহস্যভেদ করতে চাইছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানী ইয়ুয়ান ওয়েমিন জানিয়েছেন, আমি এতদিন পর্যন্ত যত উপগ্রহ দেখেছি তার মধ্য়ে এটা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর।
মহাকাশে পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় দিক। সুপারনোভা বিস্ফোরণের মাধ্যমে যে প্রথম আলো আসে সেটাও এই উপগ্রহের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবেন চিনের বিজ্ঞানীরা। একদিকে কৃষ্ণগহ্বর সহ মহাকাশের নানা রহস্যের সমাধান করার চেষ্টা করবে এই উপগ্রহ। খবর চিনের সরকারি সংবাদ এজেন্সি জিনহুয়া সূত্রে।
ইউয়ান জানিয়েছেন, ব্ল্যাক হোলস আর মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আইনস্টাইনের থিয়োরির সঙ্গে সংযুক্ত সেকারণে এই স্যাটেলাইটের নামকরণ করা হয়েছে আইনস্টাইনের নাম অনুসারে।
এই উপগ্রহের সঙ্গে যে টেলিস্কোপ সংযুক্ত করা রয়েছে তা আকাশের ১২ ভাগের ১ ভাগকে একেবারে ছবি তুলতে পারবে।
এককথায় মহাজাগতিক নানা রহস্য যা এতদিন মানুষ জানতেন না সেই রহস্য উন্মোচনে নামল চিনের টিম। আকাশে ছাড়া হল উপগ্রহ। নাম দেওয়া হল বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের নামে। তবে শেষ পর্যন্ত এই উপগ্রহ কতটা সফল হবে সেটাও দেখার।