গত ১৪-১৫ই সেপ্টেম্বর রাতে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর থেকে ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স(ডিআরআই) প্রায় ৩ হাজার কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছিল। আফগানিস্তান থেকে এগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে আরও একাধিক তথ্য় ক্রমশ সামনে আসছে। কতদূর এই আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের জাল ছড়ানো রয়েছে সেটাই জানার চেষ্টা করছে ডিআরআই। প্রাথমিকভাবে ডিআরআই জেনেছে গত ৯ই জুন কচ্ছের বন্দরে এই মাদক পাচারের মহড়াও করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের ধারনা দিল্লি, নয়ডা সহ গোটা দেশ জুড়েই ছড়ানো রয়েছে এই মাদক চক্রের জাল। তবে এবার এর তদন্তভার এনআইএর হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে মুন্দ্রা বন্দর থেকে এই বিপুল পরিমাণ ড্রাগ বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি পুলিশ। মাদক পাচার রোধে তিনজন ডিসিপিকে নিয়ে স্পেশাল সেলও তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ প্রাথমিকভাবে জেনেছে, নাইজেরিয়ান ও আফগান ড্রাগ মাফিয়ারা দিল্লির বুকে ড্রাগ পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাদেরও খোঁজ করছে পুলিশ। নিরাপত্তা এজেন্সির দাবি, আফগানিস্তান তালিবানের হাতে চলে যাওয়ার পরে ভারতীয় উপমহাদেশে মাদক পাচারের চিত্রটা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। পাকিস্তানের মদতেও আফগানিস্তানে এই হেরোইন তৈরিটা রাজস্ব আদায়ের অন্যতম মাধ্যম। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে প্রায় তিন লাখ হেক্টর জমিতে বর্তমানে আফিম চাষ হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার তো তালিবানের মদতে ওখানে বাম্পাল ফলন হবে আফিমের। আর তার জেরে গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে মাদক। এনসিবি আধিকারিকদের দাবি, দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশ থেকেও ভারতে কোকেন পাচার করা হয়। বিশ্বের অন্য প্রান্তে মাদক পাচারের জন্য ভারতকেও করিডর হিসাবে ব্যবহার করা হয়।