কোনও ছোটখাটো রাস্তা নয়, একেবারে জাতীয় সড়কে তৈরি করা হয়েছিল একটি টোল প্লাজা। দেড় বছর ধরে একাধিক গাড়ির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা টোল ট্যাক্স কেটেছিল ওই টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ। শেষে জানা গেল ওই টোল প্লাজাটি হল ভুয়ো। সম্প্রতি এমনই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গুজরাটে। রাজ্যের বামনবোর–কচ্ছ জাতীয় সড়কে টোল প্লাজা তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, একটি ব্যক্তিগত জমিকে বাইপাস করে ওই হাইওয়ের ওপর তৈরি করা হয়েছিল টোল প্লাজাটি। সে ক্ষেত্রে কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দেড় বছর ধরে ভুয়ো টোল প্লাজা চলল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় টোল প্লাজার মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাড়তে পারে টোল ট্যাক্স, জাতীয় সড়ক ও এক্সপ্রেসওয়েতে যেতে বাড়বে খরচ- রিপোর্ট
জানা গিয়েছে, গুজরাটের মোরবিতে ওই টোল প্লাজা তৈরি করা হয়েছিল। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই টোল প্লাজা করে। জাতীয় সড়কের অনুমোদিত এক টোল প্লাজার ম্যানেজার জানান, দেড় বছর ধরে প্রকাশ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা তোলাবাজি করেছে ওই জমির মালিকরা। অভিযুক্তরা রাস্তা থেকে জাতীয় সড়কের পাশের একটি জমিতে টোল প্লাজা করে। ওই জমিতে আগে হোয়াইট হাউস সিরামিক নামে একটি কোম্পানির ছিল। সেখানে আগে একটি কারখানা ছিল। তবে দীর্ঘদিন আগেই সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
জানা যায়, অমরিশ প্যাটেল নামে এক ব্যক্তি জাতীয় সড়কের একধারে বন্ধ সিরামিক কারখানার প্রাচীরের উপর দুটি গেট বসিয়েছিল। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যানবাহন থামিয়ে জাতীয় সড়কের অনুমোদিত টোল প্লাজার পরিবর্তে তাদের তৈরি অস্থায়ী টোল প্লাজা ব্যবহার করতে বাধ্য করত। এখানে অর্ধেক টাকা নেওয়া হত। জেলাশাসক জি টি পান্ড্য বলেন, ‘আমরা তথ্য পায় যে মূল রাস্তা থেকে যানবাহন সরানো হচ্ছে এবং টোল ট্যাক্স সংগ্রহ করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ এবং অন্যান্য আধিকারিকরা তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
জানা গিয়েছে, অমরশি প্যাটেল, রবিরাজ সিং ঝালা, হরবিজয় সিং ঝালা, ধর্মেন্দ্র সিং ঝালা, যুবরাজ সিং ঝালা এবং অন্যান্য অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা সকলেই ওই এলাকারই বাসিন্দা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে ৪ জন সরকারি টোল প্লাজায় কর্মরত ছিল।