প্রথমের তুলনায় করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে তুলনামূলকভাবে কম প্রভাবিত হয়েছে কৃষিক্ষেত্র। তুলনামূলক কম কঠোর লকডাউন, উপযুক্ত আবহাওয়া ইত্যাদি কারণে করোনা পরিস্থিতির প্রভাব কৃষিক্ষেত্রে আগের ওয়েভের তুলনায় কম।
কী কারণে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে তুলনামূলক কম প্রভাবিত কৃষিক্ষেত্র?
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বার হঠাত্ই লকডাউন হয়। সেই সময়ে কৃষির সঙ্গে জড়িত বেশিরভাগ ব্যক্তিই আগে থেকে প্রস্তুত ছিলেন না। তাছাড়া আগের বার করোনা লকডাউনে বিধিনিষেধও ছিল অনেকটাই বেশি কঠোর। ফলে, প্রভাব পড়েছিল কৃষিক্ষেত্রে।
তবে, চলতি বছরে দ্বিতীয় ওয়েভে লকডাউন অপেক্ষাকৃত কম কঠোর হয়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও ভাল হয়েছে। তাছাড়া আগের থেকে লকডাউনের প্রস্তুতি থাকায় সার, কীটনাশকের সরবরাহেও কোনও প্রভাব পড়েনি সেভাবে।
এছাড়া গত বছর কঠোর লকডাউনের ফলে ক্ষেতমজুরেরও অভাব সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এ বছরে সেই সমস্যা নেই। ফলে, বেড়েছে উত্পাদনের পরিমাণ।
কতটা বেশি কৃষি উত্পাদন গত বছরের তুলনায়?
পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ২.৬৬% বেশি দানাশস্যের ফলন হয়েছে। রেকর্ড ৩০৪ মিলিয়ন টন উত্পাদন হয়েছে দেশজুড়ে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
সহায় আবহাওয়া :
সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন সত্ত্বেও দেশের কৃষি অনেকটাই আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দুই বছরে পর পর সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষি উত্পাদন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে রয়েছে আশঙ্কা :
এর মাঝেও রয়েছে আশঙ্কা। করোনার প্রথম ওয়েভে গ্রামাঞ্চলে তুলনামূলকভাবে কম সংক্রমণের হদিশ মিলছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সংখ্যা। গ্রামাঞ্চলেও থাবা বসাচ্ছে করোনাভাইরাস। ফলে, দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে না এলে কৃষিক্ষেত্রে তার পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে।