হরিয়ানার খানাউরি সীমান্তে এক কৃষকের মৃত্যু। প্রতিবাদ সভা চলাকালীন ওই কৃষকের মৃত্যু হয় বলে খবর। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ই ওই কৃষকের মৃত্যু হয়। এদিকে কৃষকদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া কিষান সভার অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই কৃষকের। হরিয়ানা পুলিশ বিষয়টি মানতে চায়নি। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দুদিনের জন্য দিল্লি যাত্রা স্থগিত রেখেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। তবে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ আগের মতো চলতেই থাকবে।
মৃত ওই কৃষকের নাম শুভ করন সিং। পাতিয়ালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই কৃষককে। সেখানকার চিকিৎসক বলেন, তাঁর শরীরে বুলেটের দাগ ছিল। এনডিটিভির খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, ওখান থেকে তিনজনকে আনা হয়েছিল। কিন্তু আনার পরেই একজনের মৃত্যু হয়। তবে অন্য দুজনের শরীর স্থিতিশীল ছিল। মনে হয় বুলেটের ক্ষত ছিল। কিন্তু সেটা আমরা নিশ্চিত নই।
তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন অপরজন যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর মাথায় গুলির দাগ ছিল। কিন্তু সেটা কতটা বড় সবটা ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে।
এদিকে বর্ডারে ব্যারিকে়ড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। হরিয়ানা পুলিশ সেই সময় টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
তবে হরিয়ানা পুলিশ কারোর মৃত্যুর খবর মানতে চায়নি। তাদের দাবি যে তথ্য় মিলেছে তাতে জানা গিয়েছে, এদিন কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়নি। এটা একটা গুজব। একটি তথ্য মিলেছে যে দুজন পুলিশ ও একজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই লিখেছে হরিয়ানা পুলিশ।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্য়মন্ত্রী ভগবন্ত মান অবশ্য এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমি ভিডিয়োটি দেখেছি। সেটা দেখে আমার গায়ের লোম খাড়া হয়ে গিয়েছে। আমি অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছি।
এদিকে মৃত্যুর পরে একাধিক কৃষক সংগঠন রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে তোপ দেগেছে। অল ইন্ডিয়া কিষান সভা তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুভ কিরণ সিংয়ের মৃত্যুর ঘটনা পুরো পুলিশের কারণে হয়েছে।
মোদী সরকার একদিকে বলে যে তারা নাকি কৃষকের বন্ধু। কিন্তু বাস্তবে মোদী সরকারের নিষ্ঠুরতার দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে এই ঘটনায়। হরিয়ানার বিজেপি সরকার আন্দোলনকারী কৃষকদের শত্রু বলে মনে করছেন। এটাকে যুদ্ধ বলে মনে করছে হরিয়ানা সরকার।