মাস তিনেক আগেই টাকা দিয়ে ঝাড়খণ্ডে বিধায়ক কেনার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেবার রাঁচির একটি হোটেল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কংগ্রেসের বিধায়কদের একাংশকে কিনে নিয়ে হেমন্ত সোরেন সরকারকে ফেলে দেওয়ার ছক কষা হচ্ছিল বলে সেবার অভিযোগ উঠেছিল। এবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক রামদাস সোরেন অভিযোগ তুলেছেন যে বহিষ্কৃত দলীয় কোষাধক্ষ্য রবি কেজরিওয়াল তাঁকে টাকার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। দল ছেড়ে দিয়ে রাজ্যে বিজেপি পরিচালিত সরকার তৈরির জন্য় তাঁকে টোপ দেওয়া হয়েছিল বলে বিধায়ক অভিযোগ তুলেছেন।
এদিকে গত বছরই রবি কেজরিওয়ালকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তবে বিগত দিনে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের লোক ছিলেন। রাঁচির পুলিশ সুপার বলেন, ধারওয়া পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এরপর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিধায়ক রামদাস সোরেন হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, গত ৯ই অক্টোবর এফআইআর করা হয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট অভিযোগে জেএমএম বিধায়ক জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে কেজরিওয়াল তাঁর বাসভবনের অফিসে গিয়ে টাকার প্রলোভন দেখান। দল ছেড়ে নতুন সরকার গঠন করলে তাঁকে মন্ত্রী করা হবে বলেও তিনি টোপ দিয়েছিলেন। রামদাসের দাবি, একই দলে থাকার জন্য কেজরিওয়ালকে আগে থেকেই চিনতাম। তিনি প্রথমে ফোনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। অশোক আগরওয়াল নামে এক অপরিচিতকে সঙ্গে নিয়ে এরপর কেজরিওয়াল একেবারে আমার বাড়ির অফিসে চলে আসেন। এরপর নানা প্রলোভন দেয়। তবে আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম, ভুল দরজায় আপনি কড়া নেড়েছেন। এদিকে ঝাড়খন্ডের বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল সহদেওর পালটা দাবি, প্রতিবার কোণঠাসা হলেই নানা অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছে জেএমএম।