ফ্রান্সে এক শিক্ষকের মাথা কেটে নেওয়ার ঘটনাকে ‘সমর্থন’ করেছিলেন। যা সমাজে ‘ঘৃণা’ ছড়াচ্ছে। এমনই অভিযোগে কবি মুন্নাওয়ার রানার (৬৭) বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে এফআইআর দায়ের করা হল।
লখনউ পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই এফআইআর রুজু করা হয়েছে। কবির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ (ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো), ২৯৫এ (ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা), ২৯৮ (ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে মন্তব্য করা) এবং ৫০৫ (জনমানসে অনিষ্ট করার মতো মন্তব্য) ধারা-সহ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারা চাপানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে হজরতগঞ্জের অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (এসিপি) রাঘবেন্দ্র কুমার যাদব বলেন, ঘৃণা ছড়ানোর জন্য অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর মুন্নাওয়ার রানা নামে একজনের বিরুদ্ধে আমরা এফআইআর দায়ের করেছি।'
ক্লাসে হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসের মাঝামাঝি প্যারিসের উত্তর-পূর্ব এলাকার শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে খুন করা হয়েছিল। তাঁরও মুণ্ডচ্ছেদ করেছিল আততায়ী। তারপরও একাধিক ‘ইসলামি সন্ত্রাসের হামলা’-র শিকার হয়েছে ফ্রান্স। অভিযোগপত্রে সেই বিষয় নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করা আছে। প্যাটির নৃশংস হত্যা এবং ‘কট্টর ইসলামিদের’ আক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে একটি বেসরকারি টিভিতে সেই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন প্রবীণ কবি।
হজরতগঞ্জের অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে মুন্নাওয়ার রানা খুনের মতো হিংসাত্মক কাজের সমর্থন করছেন বলে মনে হচ্ছে। তা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। কারোর বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপের আগে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হবে।’
এফআইআরের প্রসঙ্গে একাধিকবার মুন্নাওয়ার রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে ফোন এবং মেসেজের কোনও উত্তর দেননি তিনি।