ত্রিপুরা রাজ্যে এখন ডামাডোল শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি থেকে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসতেই ফোকাস পষেন্ট করা হয়েছে ত্রিপুরাকে। আগামী বছর সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানের মন্ত্রিসভায় বহু মন্ত্রীই মুকুল রায়ের পরিচিত। এমনকী সংগঠন ওখানে তৈরি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। ফলে যে কোনও মুহূর্তে ভাঙন ধরতে পারে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সাজানো বাগানে। এই পরিস্থিতির কথা উপলব্ধি করতে পেরেই এবার ‘ট্রিপল এস’ ফর্মুলা নিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
কী এই ‘ট্রিপল এস’ ফর্মুলা? মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, সংবাদ–স্বভাব–সদাচার। এই তিনটি বিষয়কে একত্রে তিনি ‘ট্রিপল এস’ ফর্মুলা বলে বোঝাতে চেয়েছেন। আর এই তিনটি বিষয় মেনে চলতে বলেছেন দলের নেতা, কর্মী এবং সমর্থকদের। এই তিনটি বিষয় মেনে চললে এই রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন। আর তাই সেদিকে নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এখন ত্রিপুরা রাজ্যে বিপ্লব দেব বিরোধী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
এই ‘ট্রিপল এস’ ফর্মুলা কেন মানতে হবে? এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বলেন, ‘যদি বিজেপিকে বহু বছর ক্ষমতায় থাকতে হয় তাহলে নেতা–কর্মীদের এই ট্রিপল এস ফর্মুলা মেনে চলতে হবে। আর তা মানলেই সংগঠন বুথস্তর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এবং শক্তিশালী হবে। আর তা হলেই কোনও দল আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।’ হঠাৎ এখনই পরাজয়ের কথা তাঁর মাথায় এল কেন? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, যেভাবে ত্রিপুরা কইতাসে মমতা দিদি আইতাসে গানটি লোক মুখে ফিরছে তাতেই তিনি সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।
তবে দলের নেতা–কর্মীদের কাছে তিনি এই ট্রিপল এস ফর্মুলার ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানান, একজন দক্ষ সংগঠকের প্রথম কাজ হচ্ছে ভালো শ্রোতা হওয়া। তিনি প্রতিটি খবর মন দিয়ে শুনবেন এবং তা সঠিক না ভুল খোঁজ নেবেন। আর সদর্থক আলোচনা করবেন। দুই, প্রতিটি কর্মী নিজেদের এমনভাবে তৈরি করবেন যাতে প্রত্যেক মানুষের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারেন। তিন, তাঁর বক্তব্য, ভাষা, ব্যবহার এবং স্বভাব দারুণ হতে হবে।