প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চন্ডি প্রয়াত। তাঁর মৃত্যুর খবর জানান কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ। ১৯৪৩ সালে কেরলের কোট্টায়াম জেলায় জন্ম হয়েছিল ওমেন চন্ডির। মৃত্যুকালে চন্ডির বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। এক টুইট বার্তায় প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে সুধাকরণ লেখেন, ‘প্রেমের শক্তিতে বিশ্ব জয়ী রাজার গল্পের মর্মান্তিক সমাপ্তি ঘটেছে। আজ ওমেন চন্ডির মতো একজন কিংবদন্তিকে হারিয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি অগণিত ব্যক্তির জীবন স্পর্শ করেছেন। এবং তাঁর স্মৃতি চিরকাল আমাদের মনে থাকবে। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি!’
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন চন্ডি। চিকিৎসার জন্য বিগত বেশ কয়েক দিন ধরে বেঙ্গালুরুতেই থাকছিলেন তিনি। আজ ভোরে সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। ওমেন চন্ডি দুই দফায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। প্রথমবার ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পরে ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছিলেন তিনি। ১৯৭০ থেকে মোট ১২ বার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন ওমেন চন্ডি। ১৯৭৭ সালে প্রথমবার মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এদিকে কেরল বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্বও সামলেছিলেন চন্ডি।
মাত্র ২৭ বছর বয়সে প্রথমবারের জন্য নির্বাচনে জিতে বিধানসভায় পা রেখেছিলেন চন্ডি। ৩৪ বছরে মন্ত্রী হন। প্রথম নির্বাচনে জেতার পর দ্বিতীয়বার হারের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে তারপর থেকে টানা ১১ বার জয়ী হন চন্ডি। বিগত ৫ দশক ধরে পুতুপল্লীর জনপ্রনিধি ছিলেন তিনি। এখানেই তাঁর জন্ম। প্রায় ১৯ হাজার দিনের জন্য পুতুপল্লীর বিধায়ক ছিলেন তিনি। কেরলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য বিধায়ক থেকেছেন তিনি। ২১০৩ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে রাষ্ট্রসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন ওমেন চন্ডি।