‘চিনের সীমান্ত অতিক্রম নিয়ে’ ১২ ঘণ্টা পর ব্যাখ্যা দেওয়া হল - উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কথার অপব্যাখ্যা হচ্ছে। ততক্ষণে অবশ্য বিরোধীরা ময়দানে নেমে পড়েছে। আর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন তেলাঙ্গানা, মেঘালয়-সহ চার অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি বলেন, 'গতকালের (শুক্রবার) সর্বদলীয় বৈঠক ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে একতা এবং সংহতি প্রদর্শনের সময় এটা এবং আঙুল তোলা বা ভুলত্রুটি খোঁজার সময় নয়।' অধিকাংশ সময় বিজেপির পাশে দাঁড়ানো জগন অপর একটি টুইটবার্তায় বলেন, ‘সর্বদলীয় বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা অত্যন্ত প্রত্যয়ের সঙ্গে উত্তর দিয়েছেন। এই বিষয়ে দেশের উচিত একসঙ্গে দাঁড়ানো। একতা শক্তিশালী করে এবং ভাগাভাগি দুর্বল করে।’
সরাসরি চিনের সীমান্ত অতিক্রম নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও মোদীর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন অপর অবিজেপি এবং অকংগ্রেসি রাজ্য তেলাঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। গতরাত ১১ টায় তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, 'এটা রাজনীতি নয়, রণনীতির সময়। রাজনীতি নিয়ে আমাদের পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু দেশপ্রেমের বিষয়ে আমরা একসঙ্গে আছি। প্রধানমন্ত্রী যখন সশস্ত্র বাহিনীকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন যে ভারতের স্বার্থ সর্বদা রক্ষিত হবে, তখন আমাদের তরফে কথা বলেছেন।'
কেসিআরের মতো কিছুটা রাখঢাক করেই মোদীর ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, 'চিন প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য একেবারে স্বচ্ছ। এটা শুনতে আশ্বস্ত লাগছিল যে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করবে না। যে কোনও জঘন্য চেষ্টার বিরুদ্ধে জয়ের ক্ষেত্রে আমাদের বাহিনীর উপর প্রত্য়েক বিশ্বাস আছে।'
মেঘালয়ের মুখ্য়মন্ত্রী কনরাড সাংমা ‘জোর করা’ তৈরি বিতর্ক নিয়ে মোদী সরকারের পাশ দাঁড়িয়েছেন। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘গতকালের (শুক্রবার) সর্বদলীয় বৈঠকে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিতভাবে কথা বলেছেন। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি তাঁর উত্তরে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বাকি সব বক্তব্যের ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হচ্ছে, সেগুলি এড়িয়ে যাওয়া। সেটা তথ্যসমৃদ্ধ নয় এবং কাঙ্খিত নয়।’
মোদীর হয়ে চার অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুললেও সরকারের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ জারি রেখেছে কংগ্রেস। রবিবার সকালেও জাপানে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী আসলে সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) মোদী।’