জি২০ সম্মেলনের জন্য 'নারকীয়ভাবে' রাস্তার কুকুরদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সম্মেলনের শেষে আরও নির্মম কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল একাধিক পশুপ্রেমী সংগঠন। ওই সংগঠনগুলির দাবি, যেখান থেকে যে কুকুরদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে না ছেড়ে অন্য জায়গায় ছেড়ে দিয়েছে দিল্লি পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ অপরিচিত জায়গায় পথকুকুরদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, চূড়ান্ত দায়সারাভাবে কাজ করেছে দিল্লি পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। যদিও দিল্লি পুরনিগমের তরফে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
পশু অধিকার সংগঠনের সদস্য এবং সঞ্জয় গান্ধী অ্যানিমাল কেয়ার সেন্টারের অধিকর্তা অম্বিকা শুক্লা দাবি করেন, কুকুরদের যখন তুলে যাওয়া হয়েছিল, তখন ঠিকঠাকভাবে ট্যাগ লাগানো হয়নি। পাউন্ডে আটকে রাখা হয়েছিল। আর সম্মেলন শেষ হওয়ার পর কোন এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে না দেখেই কুকুরদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ অচেনা জায়গায় গিয়ে পথকুকুরদের দিশেহারা অবস্থা হয়েছে। অথচ কুকুরদের যাতে নিজেদের এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেজন্য তাঁরা সবরকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছেন বলে পুরনিগম কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল।
তাঁর কথায়, ‘কুকুরদের ছেড়ে দেওয়ার আগে ওদের (পুরনিগমের) সাহায্য করব বলে জানিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করে কুকুরদের ছেড়ে দিতে শুরু করে পুরনিগম। কুকুরদের যে চিহ্নিত করব আমরা, সেটা করার সুযোগই দেওয়া হয়নি। লালকেল্লা চত্বরের কুকুরদের শরীরে মাইক্রোচিপ লাগানো আছে। ওই কুকুরগুলিকে রোহিণী, উসমানপুর এবং বেলা রোডে রাখা হয়েছিল। কিন্তু যাতে ঠিকভাবে কুকুরদের ছাড়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে না পারি, সেজন্য ওরা (পুরনিগম) পুলিশও ডেকেছিল।’
আরও পড়ুন: G20 Summit: জি২০ সম্মেলন, দেখুন নারকীয়ভাবে পথ কুকুর ধরছে ‘মোদী সরকার,’ ভিডিয়ো দেখাল কংগ্রেস
সেইসঙ্গে সঞ্জয় গান্ধী অ্যানিমাল কেয়ার সেন্টারের অধিকর্তা বলেন, ‘গত ১১ দিনে প্রতিটি ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। বেআইনিভাবে কুকুরদের ধরা হচ্ছিল। নারকীয়ভাবে ধরা হচ্ছিল। আর তাদের ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও গাফিলতি আছে। নিজেদের ভুল সংশোধন না করে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ এখন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গিয়েছে। আর তার ফলে প্রচুর কুকুরের কোনও হদিশ পাওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: Stray Dogs: আপনার হাতে ব্যান্ডেজ কেন? প্রধান বিচারপতির প্রশ্নে উঠে এল পথকুকুরের দাপটের কথা
যদিও দিল্লি পুরনিগম কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে পথকুকুরদের যেখান থেকে তোলা হয়েছিল, সেখানেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের এবিসি নিয়ম মেনেই যাবতীয় কাজ করেছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কুকুরদের কল্যাণ নিয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল দিল্লি পুরনিগম কর্তৃপক্ষ।’