জামার ভিতরে গ্রেনেড লুকিয়ে সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের দিকে ছুটে আসছিল এক জঙ্গি। তা দেখে খুব কাছ থেকে গুলি করেছিলেন তিনি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন অসংখ্য জওয়ান। কিন্তু সেই তিনি এবার নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না।
তিনি অর্থাৎ ভারতীয় সেনার ২১ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের কর্নেল আশুতোষ শর্মা। দীর্ঘদিন ধরে উপত্যকায় ছিলেন। সাফল্যের সঙ্গে একাধিক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সামিল হয়েছিলেন। গ্রেনেড হামলার থেকে জওয়ান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশকর্মীদের বাঁচানোর পর কম্যান্ডিং অফিসার হিসেবে সাহসিকতার জন্য সম্মানও অর্জন করেছিলেন। আর সেটা শুধু একবার, সাহসিকতার জন্য আরও একবার সেনা মেডেল পেয়েছিলেন তিনি।
এবারও আর সেই একই সাহসিকতা পরিচয় দিলেন। শুধু নিজের জীবনটুকুই বাঁচাতে পারলেন না। জম্মু ও কাশ্মীরের হান্দওয়ারায় জঙ্গিদের হাতে বন্দি সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে শহিদ হলেন তিনি। মৃত্যু হয়েছে তাঁর আরও চার সঙ্গীর। ততক্ষণে অবশ্য বন্দি নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে বের করে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। আরও কয়েকটি পরিবারকে বাঁচিয়ে দিলেও পিতৃহারা হল কর্নেলের ১২ বছরের মেয়ে। স্বামীহারা হলেন তাঁর স্ত্রী।
গত পাঁচ বছরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এই প্রথম মৃত্যু হল কম্যান্ডিং অফিসার বা কর্নেল পদমর্যাদার কোনও অধিকারিকের। উত্তরপ্রদেশের বুন্দলশহরের আশুতোষ শর্মার আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কাশ্মীরে এনকাউন্টারের সময় নিহত হয়েছিলেন কর্নেল এম এন রাই। সেই বছরই নভেম্বর মৃত্যু হয়েছিল কর্নেল সন্তোষ মাহাদিকের।