মারাত্মক সংকটে পড়েছে গো ফার্স্ট এয়ারলাইন্স। তবে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন গো ফার্স্ট এয়ারলাইন্সের কাজকর্ম, তাদের সুরক্ষার বিষয়গুলি নিয়ে মুম্বই ও দিল্লিতে স্পেশাল অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে।
এক আধিকারিকের কথায় চলতি বছরের ৪ থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্য়ে স্পেশাল অডিট করা হবে। সেখানে সুরক্ষাজনিত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে। ফ্লাইট চালানোর বিভিন্ন দিকগুলো একেবারে সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে।
সূত্রের খবর আর্থিক নানা সংকটে ভুগছে গো ফার্স্ট বিমান সংস্থা। ৬ জুলাই পর্যন্ত তারা বিমান চলাচল বন্ধ রাখবে বলে ঠিক করেছে। কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে তারা বিমান চালানো আপাতত বন্ধ রেখেছে। তবে এবার সেই বিমান সংস্থার বিমান চালানোর নানা দিক খতিয়ে দেখার জন্য স্পেশাল অডিট করার সিদ্ধান্ত নিল ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন।
সূত্রের খবর, সেই স্পেশাল অডিটের সময় প্রশ্ন করা হতে পারে যে ওই বিমান সংস্থা আদৌ ফের চালাতে পারবে, টিকিট বিক্রি করতে পারবে কি না? সেব্যাপারেও খতিয়ে দেখবে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন।
এদিকে সূত্রের খবর, বিমান সংস্থার সিইও কৌশিক খোনা সহ সংস্থার পদস্থ আধিকারিকরা গত ২৮ জুন বিমান সংস্থার পুনরুজ্জীবন সংক্রান্ত নানা পরিকল্পনার কথা ডিজিসিএকে জানিয়েছিলেন। একেবারে বিস্তারিতভাবে সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা জানানো হয়েছিল।
তবে ফের এই বিমান চলাচলের উপযোগী কি না সেটাও খতিয়ে দেখতে চাইছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন। এক্ষেত্রে সুরক্ষার দিকটিও বিশেষভাবে দেখা হবে। এক্ষেত্রে একেবারে সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ২৬টি বিমানকে ফের নামাতে চাইছে গো ফার্স্ট। তার মধ্য়ে ২২টিকে ব্যবহার করা হবে। চারটি বিমানকে স্ট্যান্ড বাই অবস্থায় রাখা হবে। ২২টি এয়ারপোর্টে আর ৭৮টি রুটে দৈনিক ১৬০টি বিমান চালানোর ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে।
সূত্রের খবর, মোটামুটি ৪৫০ কোটির সংস্থান কীভাবে হবে সেই সংক্রান্ত একটি রিভাইভাল প্যাকেজ তারা ডিজিসিএর কাছে জমা দিয়েছিল। তারপরই কথাবার্তা এগোতে থাকে।