বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Goa school: মসজিদে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীদের হিজাব পরতে বাধ্য করার অভিযোগে বরখাস্ত অধ্যক্ষ

Goa school: মসজিদে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীদের হিজাব পরতে বাধ্য করার অভিযোগে বরখাস্ত অধ্যক্ষ

গোয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের মসজিদে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি 

একটি মুসলিম সংগঠন একটি শিক্ষামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছিল। এই কর্মশালায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংগঠনটি। যার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই নিয়ে যাওয়ার পর পড়ুয়াদের হিজাব পরার পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় আচার পালন করতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

গোয়ার একটি বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি মসজিদে অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, মসজিদে পড়ুয়াদের হিজাব পরতে বাধ্য করা করেছিলেন ওই অধ্যক্ষ। এই ঘটনার পরেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় হিন্দু সংগঠনগুলি। তার জেরে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করল স্কুল কমিটি। এই ঘটনায় শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর শৈলেশ ঝিংগাডে রিপোর্ট তলব করেছেন। ওই অধ্যক্ষের নাম শঙ্কর গাঁওকর।

আরও পড়ুন: ছাত্রকে চড় মারায় স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে নিগ্রহ অভিভাবকদের, গ্রেফতার শেখ বিলালসহ ২

জানা গিয়েছে, একটি মুসলিম সংগঠন একটি শিক্ষামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছিল। এই কর্মশালায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংগঠনটি। যার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই নিয়ে যাওয়ার পর পড়ুয়াদের হিজাব পরার পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় আচার পালন করতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ৪ ছাত্রীকে হিজাব পরতে বলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই অনুষ্ঠানে ৮ জন মৌলানা ধর্ম নিয়ে পড়ুয়াদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। স্কুলের সভাপতি পান্ডুরং কোরগানোকার জানান, অধ্যক্ষ শঙ্কর গাঁওকরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও একটি প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। একটি মুসলিম সংগঠন শিক্ষামূলক কর্মশালার বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। সেখানে ১২ জন ছাত্র কর্মশালায় অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে দুজন ছিল হিন্দু এবং দুজন খ্রিস্টান।  

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সদস্যরা এই ঘটনাকে দেশবিরোধী কার্যকলাপকে সমর্থন করার সমতুল্য বলে অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় তারা স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়নি। পড়ুয়ারা স্বেচ্ছায় এটি পরতে চেয়েছিল। সংগঠনের তরফে যে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল তার নাম ছিল ‘মসজিদ সবার জন্য উন্মুক্ত’। স্কুলের তরফে জানানো হয়, এটি একটি শিক্ষামূলক কর্মশালা ছিল। এবিষয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রচারের জন্য অতীতেও মন্দির, গীর্জা এবং মসজিদে শিক্ষার্থীদের পরিদর্শনের আয়োজন করেছেন তিনি। যদিও সংগঠনের দাবি, তারা প্রায় এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই।  অন্যদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পড়ুয়াদের ধর্মান্তর করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে।

বন্ধ করুন