রবিবার অক্ষয় তৃতীয়া, সোনা কেনার জন্য শুভ দিন। লকডাউনের জেরে দোকান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে কেনা যাবে সোনা। শনিবার সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও পিছ-পা নন ক্রেতারা। এখন শুধু বিনিয়োগের জন্য শুভ মুহূর্তের অপেক্ষা।
এ দিন দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়েছে ০.১৬%। সকাল ৯.৩০ সময়ে মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে জুন গোল্ড-এর দর অনুযায়ী সোনার দাম দাঁড়ায় প্রতি ১০ গ্রাম ৪৬,৫০১ টাকা।
সোনার গয়না, বিস্কুট ও মুদ্রা
লকডাউনের সময় অক্ষয় তৃতীয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে সোনা কেনা যাবে। অনলাইনে এই সোনা কেনা যাবে গয়না অথবা সোনার বিস্কুট বা স্বর্ণমুদ্রার আকারে। কিছু কিছু ব্যাঙ্কেও স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করা হয়।
বিনিয়োগের কোনও সীমারেখা নির্দিষ্ট হয়নি। তবে এই ধরনের সোনা কিনতে গেলে চুরির ঝুঁকি থেকে যায়। এই কারণে পরবর্তীকালে দোকানে সোনা বিক্রি করতে গেলে অনেক সময় প্রতারণার শিকার হতে হয়।প্রতি গ্রাম সোনার দাম নির্দিষ্ট হয় নির্দিষ্ট দিনের সূচক অনুসারে।
মজুত থাকা সোনা ঋণ নেওয়ার সময় কোল্যাটেরাল সিকিউরিটি হিসেবে জমা দেওয়া যায়। এই সোনায় দীর্ঘকালীন আসলভিত্তিক লাভ দেখতে পাওয়া যায় অন্তত ৩ বছর পরে। সোনার মান নির্ধারণ করা সমস্যার এবং তা মজুত রাখতে লকার ব্যবহার করলে তার ভাড়া গুনতে হয়।
গোল্ড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)
গোল্ড এক্সচেঞ্জ থেকে কেনা যায় ইটিএফ। বাজারে আসল সোনার উপস্থিত দাম অনুযায়ী নির্দিষ্ট হয় গোল্ড ইটিএফ-এর দাম। গোল্ড ইটিএফ কিনতে হলে জিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি।
গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা ১ গ্রাম। তবে এর কোনও ঊর্ধ্বসীমা নির্দিষ্ট করা নেই।
গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করা তুলনামূলক নিরাপদ, যে হেতু এ ক্ষেত্রে চুরির ঝুঁকি নেই। তবে আসল সোনার মতোই লাভ কম। তিন বছর পরে LTCG হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও ঋণ নেওয়ার সময় কোল্যাটেরাল সিকিউরিটি হিসেবে গ্রাহ্য হয় না। গোল্ড এক্সচেঞ্জে ইটিএফ কেনাবেচা করা যায় এবং তার জন্য কোনও লক-ইন সময়সীমা নির্দিষ্ট নেই।
বৈদ্যুতিন আকারের কারণে গোল্ড ইটিএফ-এর গুণমান সব সময় উঁচু। শুধুমাত্র ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের কারণে এর মজুত খরচও অনেক কম।
সভরেন গোল্ড বন্ড
এক গ্রাম সোনার গুণিতকে বিক্রি হয় সরকারি সভরেন গোল্ড বন্ড। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বন্ড ইস্যু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং তা কেনাবেচা হয় শেয়ার বাজারে। ঋণ নেওয়ার সময় এই বন্ড কোল্যাটেরাল সিকিউরিটি হিসেবে দাখিল করা যায়।
গোল্ড বন্ড কেনায় ব্যক্তিগত ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ সীমা যথাক্রমে ১ গ্রাম ও ৪ কেজি।
সভরেন গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি নিরাপদ কারণ এতে চুরির আশঙ্কা নেই। সোনায় বাজারদরের চেয়ে বেশি দাম পাওয়া যা বন্ডে কারণ মজুত রাখা বন্ডের উপরে সুদ পাওয়া যায়।
সভরেন গোল্ড বন্ড বাবদ প্রাপ্ত সুদ করযোগ্য। তবে এর উপর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স।
ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোল্যাটেরাল সিকিউরিটি হিসেবে এই বন্ড জমা রাখা যায়। এ ছাড়া তা বিক্রিও করা যায়। সভরেন গোল্ড বন্ডের ম্যাচিওরিটি পিরিয়ড ৮ বছর হলেও পাঁচ বছরের মাথায় বন্ড ছেড়ে দেওয়া যায়।
বৈদ্যুতিন মাধ্যমে কেনাবেচা হয় বলে গোল্ড বন্ডে ভেজালের আশঙ্কা নেই এবং সংরক্ষণ খরচও নামমাত্র।