আন্তর্জাতিক বাজারের মন্থর গতি অনুসরণ করে চলতি সপ্তাহে ভারতের বাজারেও সোনা ও রুপোর দর নিম্নমুখী রইল।
এমসিএক্স সূচকে শুক্রবার ০.৮৫% পতনের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম গিয়েছে ৪৮,১০৬ টাকা। সূচকে ১.৩% পতনের ফলে প্রতি কেজি রুপোর দাম গিয়েছে ৫৯,১০০ টাকা।
গত তিন সপ্তাহে ১০ গ্রামের হিসেবে ৪,০০০ টাকা কমেছে সোনার দাম এবং প্রতি কেজির হিসেবে ৬,০০০ টাকা কমেছে রুপোর দাম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদনের আশা দেখা দিতে বাজারে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে, আর তারই প্রভাবে দর বাড়ছে না সোনা ও রুপোর।
আন্তর্জাতিক বাজারে গত দুই সপ্তাহের ধারা মেনে শুক্রবারও সূচকে রেকর্ড উত্থান ঘটেছে সোনা-রুপোর দরে। যদিও শুক্রবার সূচকে ২% পতনের জেরে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়ায় ১,৭৭৩ ডলার, যা ন্যূনতম সমর্থক মূল্য ১,৮০০ ডলারের গন্ডি অতিক্রম করে।
কোটাক সিকিউরিটিজ-এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদনের সম্ভাবনা ও আমেরিকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা হ্রাস পাওয়ার ফলে সম্ভাব্য উদার আর্থিক নীতির আশায় সম্প্রতি ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা ফের বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে। তবে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির হাল ফেরার সম্ভাবনায় অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ার কারণে সোনায় বিনিয়োগকারীরা আপাতত বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতিতে স্থিতাবস্থার জন্য অপেক্ষা করছেন।’
সোনার দামে লাগাতার পতন দেখা দিলেও চলতি বছরে এ পর্যন্ত বাজারে ২০% বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। বহু বিশেষজ্ঞের মতে, সুদের হার কম রাখলে এবং অর্থনীতি চাঙ্গা করতে প্রশাসন সদর্থক উদ্যোগ নিলে সোনার দাম ফের উর্ধ্বমুখী হবে।
সোনার দামে লাগাতার পতনের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বিশ্বের ইটিএফ চিত্রেও। বিনিয়োগে ভাটা পড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই নিম্নমুখী রয়েছে মজুত সোনার পরিমাণ।