একটানা দাম কমার ট্রেন্ডে বাধা পড়েছিল একদিন। তবে বুধবার আবারও কমল সোনা-রূপোর দাম। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পড়ল সূচক। বুধবার এমসিএক্স সূচকে গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৩৩% কমে ৪৫,৭৬৭ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে দাঁড়িয়েছে।
পাল্লা দিয়ে কমেছে রূপোর দামও। ০.২৮% কমে প্রতি কেজি রূপোর দাম দাঁড়িয়েছে ৬৫,৭১৫ টাকা।
এর আগের দিন অবশ্য দাম কিছুটা উর্ধ্বমুখী ছিল। এক ধাক্কায় ১.২৫% বা ৬০০ টাকা দাম বেড়েছিল দশ গ্রাম সোনার। অন্যদিকে রূপোর দাম বেড়েছিল ১,৩০০ টাকা প্রতি কেজি।
গত সপ্তাহে এক বছরের সবচেয়ে সস্তা দরে নেমে এসেছিল সোনা। ৪৪,১০০ টাকা প্রতি দশ গ্রাম দাঁড়িয়েছিল সোনার দাম।
কলকাতায় বুধবার ২৪ ক্যারাট সোনার দাম ছিল ৪৭,৩২০ টাকা(১০ গ্রাম)। (তথ্য: গুডরিটার্নস)
গত ১ মাসে কিছুটা হলেও স্থিতিশীল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল করোনা পরিস্থিতি। ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি। ফলে কমছিল সোনার দাম। কিন্তু আবারও করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক দিকে এগোচ্ছে। আর সেই জন্যই আবারও সামান্য হলেও দাম বাড়ছে সোনার।
অন্যদিকে চলতি সপ্তাহেই আগামী ২ বছরের আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সম্ভাবনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে IMF । সেখানে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ফের ধীরে ধীরে চাঙ্গা হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফলে ফের একটু হলেও আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার সাহস বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বছর মার্কিন-চিন বাণিজ্য নীতি সংঘাতের আবহে বাড়তে শুরু করেছিল সোনার দাম। সেই সময়ে নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসাবে সোনাতেই লগ্নি করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দাম।
এর পর করোনা পরিস্থিতিতেও অর্থনীতি বিশ্বজুড়ে টলমলে হয়ে যায়। এই সময়েও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবে চাহিদা বাড়ে সোনার। ফলে, আরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে দাম।
গত বছর অগস্টে রেকর্ড দরে পৌঁছয় সোনার দাম। প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়ায় ৫৬,২০০ টাকা।