একতরফা প্রেমে প্রত্যাখ্যান সহ্য করতা না পেরে এক তরুণীকে খুন করল এক যুবক। পাশাপাশি তরুণীর মা ও বাবাকেও নৃশংস ভাবে খুন করে সেই যুবক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম, অলোক কুমার পাসওয়ান। এদিকে মৃত তরুণীর নাম প্রীতি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুরে। পুলিশ জানায়, সে তার অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে। খোরাবর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সেই যুবকের। বলা হচ্ছে, ঘটনার পর থেকে সে ঘোরাফেরা করছিল এবং পুলিশের আসার অপেক্ষায় ছিল। পুলিশ আসার পর সে নিজেই এগিয়ে এসে হত্যার অপরাধ স্বীকার করে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতামূলক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রায় দশ বছর ধরে অলোক তার মামাবাড়িতে থাকত। গত এক বছর ধরে সে এলাকারই একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। কয়েকদিন এরম চলার পর মেয়েটি বিরক্ত হয়ে অলোকের মামাকে ঘটনাটা জানায়। এরপর অলোকের মামা বাড়ি থেকে বের করে দেন অলোককে। তবে তার পরেও হাল ছাড়েনি অলোক। সন্ত কবিরনগর থেকে এসে এসে সেই তরুণীর খোঁজ করতে থাকে সে। সূত্রের খবর, প্রায় চার মাস ধরে মেয়েটির খোঁজে ছিল সে। সোমবারের মেয়েটির খোঁজ পেয়ে সন্ত কবিরনগরথেকে গোরক্ষপুরে এসে তিনজনকে খুন করে সে। তিনজনকে মেরেও সে পালিয়ে যায়নি। খুনের পর সে গ্রামে যায় এবং পুলিশ এলে সে নিজেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: হাঁসখালি গণধর্ষকাণ্ডে অস্বস্তিতে শাসকদল, CBI-এর জালে এবার তৃণমূল নেতা
এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছান এডিজি অখিল কুমার থেকে শুরু করে এসএসপি ডক্টর বিপিন টাডা। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খুনে অভিযুক্ত অলোক কুমার পাসওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, সে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটির খোঁজ করছিল। অলোক প্রেমে প্রত্যাখ্যান হজম করতে পারেনি। তাই সে তরুণীকে খুন করার কথা পরিকল্পনা করে। অলোক জানত যে প্রীতি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কোথায় যাচ্ছে, সেই মতো সে রাস্তায় অপেক্ষা করছিল।