সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো মেসেজের কারণেই দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশের গ্রামে ফিরতে তৎপর হন কয়েক লাখ পরিযায়ী শ্রমিক। এমনই দাবি সরকারি আধিকারিকদের।
এমনই একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দিল্লির পরিযায়ী শ্রমিক মহল্লায় গত কয়েক দিন ঘুরে বেড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই বার্তায় বলা হয়েছিল, রাজধানীতে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে দিল্লী সীমান্তে বাস পাঠিয়েছে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন। হিন্দিতে লেখা ওই মেসেজে আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাল থেকে উত্তর প্রদেশ সড়ক পরিবহণ নিগমের বাস ছাড়ার দিনক্ষণও উল্লেখ করা হয়েছিল।
ওই বার্তায় দেওয়া দুটি হেল্পলাইন আদতে দিল্লির উত্তর প্রদেশ ভবনের, যেখানে জরুরি প্রয়োজনে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দাদের যোগাযোগ করতে বলা হয়। তবে বাড়তে ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা প্রায় কেউই ওই নম্বরে ফোন করার প্রয়োজন অনুভব করেননি। উলটে দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক আনন্দ বিহার বাস টার্মিনালে এসে ভিড় জমান।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মেসেজটি আদতে ভুয়ো কারণ উত্তর প্রদেশ সড়ক পরিবহণ নিগমের তরফে এমন কোনও ঘোষণা সেই সময় করা হয়নি।
নিগমের গাজিয়াবাদ শাখার এমডি এ কে সিং জানিয়েছেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের বোকা নাতে কেউ ঠাট্টাচ্ছলে এই মেসেজ চাউর করে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও প্ল্যাটফর্মে এমন কোনও ঘোষণা করিনি।’
এ দিকে আনন্দ বিহার, কৌশাম্বি ও লাল কুয়াঁ বাস টার্মিনালে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ভিড় করতে শুরু করলে শুক্রবার নিগমকে আটকে পড়া শ্রনমিকদের উদ্ধারের জন্য বাস চালানোর নির্দেশ দেয় উত্তর প্রদেশ সরকার।
অন্য দিকে, লকডাউনের মাঝেই শহরে বাস চালানো এবং বিনামূল্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের উত্তর প্রদেশ সীমান্তে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকাররের বিরুদ্ধে।
নিগম কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, জোর করে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিল্লিছাড়া করার উদ্দেশেই এই ষড়যন্ত্র করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। ।যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
শুধু তাই নয়, তিন মাসের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রাণ দেওয়ার ঘোষণাতেও ঘাবড়ে যান দিল্লিতে কর্মরত ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা, এমন তত্ত্বও উঠে আসছে। তাঁদের ধারণা হয়, কেন্দ্র এরপর লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেবে। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেও বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা।