অশান্তি ছড়াতে পারে, সেই জন্য ১২০০ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য টুইটারকে চিঠি পাঠিয়েছে ভারত সরকার। এর আগে একটি উস্কানিমূলক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার জন্য ২৫৭টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে বলেছিল ভারতীয়। সাময়িক ভাবে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তারপরে সেই অ্যাকাউন্টগুলিকে আনব্লক করার সিদ্ধান্ত নেয় টুইটার। যেই নিয়ে ইতিমধ্যেই তাদের সঙ্গে ভারত সরকারের সংঘাত চলছে। এর মধ্যে এই নয়া আর্জি জানাল কেন্দ্র।
সূত্রের খবর তিনদিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে ১১৭৮ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার তালিকা দেওয়া হয় টুইটারকে। এখনও তারা সেই কাজ করেছে কিনা জানা যায় নি। হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিক্রিয়া চাইলেও টুইটারের থেকে কিছু বলা হয়নি। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে চিহ্নিত অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে বেশ কিছু বট, অন্যগুলি ভিন দেশীদের অঙ্গুলিহেলনে চলছে। আইটি আইনের ৬৯ (এ) ধারায় নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কারণ দর্শিয়ে। এর আগে কৃষক গণহত্যার অভিযোগ সম্পর্কিত টুইট করা অ্যাকাউন্ট ডিলিট না করার জন্য সরকারের রোষের মুখে পড়ে টুইটার। কেন্দ্র বলে যে টুইটারের কোনও অধিকার নিজের মতো আইনের ব্যাখ্যা করার।
তবে এই নিয়ে সরকার এখনও কি করবে সেটা স্পষ্ট নয়। সরকারি সূত্রের খবর যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান আছে বলেই কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা ধৈর্য ধরছেন। আরেক সরকার অফিসার বলেছেন যে অনেক অ্যাকাউন্টই খলিস্তানি সমর্থকদের বা পাকিস্তানিরা চালাচ্ছে বিদেশ থেকে বলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি চিহ্নিত করেছে। এছাড়াও অনেক বট অ্যাকাউন্ট করছে যারা কপি পেস্ট করে কৃষি আন্দোলন সম্বন্ধীয় ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে বলে সরকারি কর্তাদের দাবি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেইনি টুইটার, বলেই তিনি জানান। এই কথাও তিনি তুলে ধরেন যে কৃষক আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটির টুইট লাইক করেছেন সংস্থার সিইও জ্যাক ডর্সি। তাই সরকারের কথা যেভাবে অমান্য করছে টুইটার, সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আদালতেও যায়নি তারা। এরমধ্যেই টুইটার ইন্ডিয়ার পলিসি হেড মহিমা কৌল পদত্যাগ করেছেন। সব মিলিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন।