বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক পঙ্কজা মুন্ডের চিনি কারখানায় অভিযানে নামলেন জিএসটির আধিকারিকরা। মহারাষ্ট্রের বীর জেলায় ওই চিনি কারখানার মালিক বিজেপি নেত্রী। তবে বর্তমানে বিদ্যানাথ চিনি কারখানাটি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। জিএসটি সংক্রান্ত কারচুপির অভিযোগে ওই চিনি কারখানায় অভিযান চালাv জিএসটির আধিকারিকরা।
বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুন্ডের মেয়ে পঙ্কজা মুন্ডে। তিনি জানিয়েছেন, আমি জিএসিট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের জবাব হল উপরমহল থেকে নির্দেশ রয়েছে।
পঙ্কজা জানিয়েছেন, গত ৬-৭ বছর ধরে চিনি কারখানাটি লসে চলছিল। সেকারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত এখানে খরা চলছিল। সেকারণে কারখানায় ক্ষতি হয়েছিল। এরপর কোভিডের সময় আরও সমস্যা তৈরি হয়। সেকারণে কারখানা ক্ষতির মুখে পড়েছিল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আমি সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলাম। আমার অর্থনৈতিক সংকটের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বলেছিলাম। সুগার ফ্য়াক্টরির ক্ষতির কথাও জানিয়েছিলাম। রুগ্ন চিনি কলের পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে আমি ওপর মহলে জানিয়েছিলাম।
তবে এভাবে চিনি কারখানায় জিএসটি হানা নিয়ে তিনি যে আঘাত পেয়েছেন সেকথাও মেনে নেন। তিনি বলেন, চিনি কারখানার সব মিলিয়ে ২৫০ কোটি টাকার লোন রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ১৫২ কোটি লোন মিটিয়ে দিয়েছি। এখানে লুকানোর কিছু নেই। ১২ কোটি জিএসটি দেওয়া হবে। কোনও কর ফাঁকি দেওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই।
এদিকে এভাবে বিজেপি নেত্রীর কারখানায় জিএসটি হানা প্রসঙ্গে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। পঙ্কজার এক অনুগামী জানিয়েছেন, কেন তার কারখানায় এভাবে হানা দেওয়া হল? একটি রুগ্ন চিনি কারখানায় জিএসটি হানার পেছনে কোনও ব্যাখ্যা নেই। এত তো অনিয়ম রয়েছে সেসব দেখা হচ্ছে না।
এদিকে কারখানায় অভিযানের আগের দিনই পঙ্কজা প্রাক্তন এনসিপি মন্ত্রী ধনঞ্জয় মুন্ডের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন কিছু মানুষের তাদের মধ্য়ে বিরোধ বাঁধানোর চেষ্টা করছেন। ধনঞ্জয়ও পঙ্কজার সম্পর্কে নানা ভাবে প্রসস্তিসূচক কথা বলেন। তারপরেই কাকতালীয়ভাবে জিএসটি হানা।