জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্স নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর। এএনআই এডিটর স্মিতা প্রকাশ তাঁর সাক্ষাৎকার নেন। তখনই ওই জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্স নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানিয়েছেন জ্ঞানবাপির দেওয়াল গুলো সব কাঁপছে। এটাকে মসজিদ বলা হলে বিতর্কের কারণ হয়ে উঠবে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, যদি আমরা এটাকে মসজিদ বলি তবে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হবে। একটা মসজিদের ভেতরে ত্রিশূল কি করে থাকবে? আমরা ওটা ওখানে রাখিনি। ওখানে একটা জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে দেবপ্রতিমা রয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ওখানকার দেওয়ালগুলো সব কাঁপছে কিছু যেন বলতে চাইছে। আমার মনে হচ্ছে মুসলিম সমাজের পক্ষ থেকে একটা প্রস্তাব আসা দরকার। ওখানে একটা ঐতিহাসিক ভুল হয়ে গেছে। আমাদের সেটা সমাধান করা প্রয়োজন। জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
এদিকে এর আগে নিম্ন আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ওটা মন্দিরের ওপরে মসজিদ তৈরি হয়েছে কিনা সেটা দেখতে হবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে। তবে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আবেদন জমা পড়েছে।
তবে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষার ক্ষেত্রে আগামী ৩ মে পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি এই মসজিদের দেখাশোনা করে। তারাই আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন।
আসলে দীর্ঘদিন ধরেই এই জ্ঞানবাপি কমপ্লেক্সকে ঘিরে নানা বিতর্ক। এটি মন্দির এর ওপরে মসজিদ তৈরি হয়েছে কিনা তা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। তার জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। এখনো আইনি পথে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত ২৪ জুলাই ওখানে সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছিল এএসআই।প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে তারা সমীক্ষা চালায়। তবে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ওইদিনই সেই সমীক্ষার কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এরপর আবেদনকারীরা এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
তবে এবার সংবাদ সংস্থা এনআইয়ের কাছে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ওখানে ত্রিশূল আসবে কী করে? আমরা তো ওটা রাখিনি।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের ঘেরা জায়গায় সমীক্ষা চালানোর ব্যাপারে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে অনুমতি দিয়েছিল। তবে যে জায়গাটি সিল করা রয়েছে সেখানে করা যাবে না।
এদিকে চলতি বছরের মে মাসে হিন্দু মহিলা আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী শঙ্কর জৈন জানিয়েছিলেন, ঘিরে রাখা জায়গার যাতে সমীক্ষা করা হয় সেব্য়াপারে আবেদন করেছিলেন। তবে সিল করা এলাকা বাদ দিয়েই তারা সার্ভে করার কথা জানিয়েছিলেন।