নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে আবেদন জানিয়েছিল দিল্লি। তবে দিল্লির সেই আবেদন খারিজ করে দিল ইসলামাবাদ। যদিও ইসলামাবাদ দাবি করেছে, সইদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার 'সদিচ্ছা' তাদের আছে। তবে তাদের আরও দাবি, সেই ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এই নিয়ে পাক বিদেশ মন্ত্রকের যুক্তি, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনও বন্দি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি নেই। তাই পাকিস্তানের জেলে বন্দি হাফিজকে ভারতের হাতে তুলে দিতে পারে না তারা। (আরও পড়ুন: 'স্তন কেটে নিয়ে তা দিয়ে বলের মত খেলছিল… চলছিল ধর্ষণ', প্রকাশ্যে হামাসের বিভীষিকা)
আরও পড়ুন: দশম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে 'রোম্যান্টিক শুট', শিক্ষিকা বললেন, 'আমাদের সম্পর্ক...'
এই বিষয়ে পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, 'ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানের কাছে একটি অনুরোধ জানানো হয়েছিল। অর্থ তছরুপ অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় অভিযুক্ত হাফিজ সইদকে বিচারের জন্য তাদের দেশে পাঠানোর আবেদন করেছিল ভারত। তবে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে কোনও বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।'
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলায় সইদ জড়িত বলে অভিযোগ। তবে সেই মামলায় দিল্লি প্রমাণ তুলে ধরলেও হাফিজকে নিজেদের হেফাজতে পায়নি তারা। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে হাফিজের লস্কর জঙ্গি সংগঠন। হাফিজ সইদ নিজে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী তকমা বহন করে বেরাচ্ছে নিজের মাথার ওপর। এই সবের মাধে গত বছরের এপ্রিলে ৭০ বছর বয়সি হাফিজ সইদকে ১১ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা দেয় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী একটি আদালত। আপাতত হাফিজ জেলে বন্দি বলে দাবি করে পাকিস্তান। যদিও সইদের জেলবন্দি থাকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ঠ সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
হাফিজের ছেলে হাফিজ তালহা সইদ পাকিস্তানের ভোটে দাঁড়াচ্ছে বলে খবর। সে আবার লস্কর-ই-তইবার নেতা। সেই হাফিজ এবার মার্কাজি মুসলিম লিগের প্রার্থী হয়ে পাকিস্তানের ভোটে। লস্কর-ই-তইবার 'নম্বর ২' হিসাবে পরিচিত হাফিজ তালহা সইদ। গত বছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাকে জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করেছিল। লাহোরের এনএ-১২২ আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছে তালহা। এদিকে এই আসন থেকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভোটে লড়াই করার সম্ভাবনা আছে। এর আগে ২০১৮ সালে হাফিজ সইদ আল্লা ও আকবর তেহরিক পার্টির তরফে ২৬৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু একটাতেও জয় হাসিল করতে পারেনি। এবার আবার পাকিস্তানি মার্কাজি মুসলিম লিগ বলে অপর একটা পার্টির নাম করে ভোট যুদ্ধে নেমেছে সইদ পুত্র।