পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে তুঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক পারদ। সরকারে থাকে কংগ্রেসকে টার্গেট করে স্থানীয় পার্টি শিরোমনি অকাল দল ইতিমধ্যেই চড়িয়েছে সুর। দলের তরফে হরসিমরত কৌর বাদল শনিবার টুইটারে কার্যত নয়া শক্তিশেল তাক করেন কংগ্রেস শিবিরের দিকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাহুল গান্ধীর স্বর্ণমন্দির সফরকালে সম্ভবত পকেটমার হয়। যে বক্তব্যকে পাল্টা খারিজ করে দিয়েছেন কংগ্রেসের তরফে রণদীপ সুরজেওয়ালা। এদিকে হরসিমরত কৌর বাদল এই ইস্যুতে পর পর প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি।
টুইটে হরসিমরত কৌর বাদল ইঙ্গিত দিয়েছেন, অমৃতসরের হরমন্দির সাহিবের মতো পবিত্রস্থানে যদি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কোনও সামগ্রী চুরি হয়ে থাকে, তাহলে তা নিয়ে রাহুলের আশপাশে থাকা কয়েকজনকেই সন্দেহ করা উচিত। হরসিমরত নিজের টুইটে উল্লেখ করেন যে, রাহুল গান্ধী জেড ক্যাটেগোরির নিরাপত্তা পান। সেক্ষেত্রে তাঁর কাছে মাত্র ৩ জনই ঘোরাফেরা করতে পারবেন। এই জায়গা থেকে হরসিমরত নিজের টুইটে প্রশ্ন তোলেন, তাহলে সেই দিন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের নিয়ে। ঘটনাকে, হরসিমরতের দাবি, 'এই ঘটনা আমাদের পবিত্র জায়গাকে বদনাম করার আরও একটি চেষ্টা, এর আগের বেআয়-দবি ( ধর্মীয় অপবিত্রকরণ) এর ঘটনার পর।' হরসিমরতের টুইটে নাম উঠে আসে পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নভজ্যোত সিং সিধু,পঞ্জাব কংগ্রেসের দাপুটে নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির নাম। এদিকে, ঘটনা নিয়ে একচুলও জমি ছাড়েননি বিপক্ষ কংগ্রেস শিবিরের রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
হরসিমরত কৌর বাদলকে টুইটে পাল্টা জবাব দিয়ে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা লেখেন, ' যখন এমন কিছু ঘটেইনি, তখন এই মিথ্যা খবর চাউর করে পবিত্র গুরুঘরের অপবিত্রতাকরণ করা হচ্ছে। নির্বাচনী গতিরোধ চলবেই তবে আপনাকে পরিণত মানসিকতা দেখাতে হবে।' একই সঙ্গে তিনি ভতিণ্ডার শিরোমমি অকালি দলের সাংসদ হরসিমরত কৌরকে উদ্দেশ্য করে ফের একবার মোদী সরকারের আনা কৃষি আইন নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। কংগ্রেসের তরফে সুরজেওয়ালা দাবি করেন, যখন মোদী সরকার 'কৃষির কালো আইন' আনছিল, তখন মন্ত্রিসভায় বসে তা হতে দেওয়াও 'ধর্মীয় অপবিত্রকরণ' এর সমকক্ষ। উল্লেখ্য, পঞ্জাব নির্বাচনের আবহে প্রচারে ঝড় তুলতে সদ্য পঞ্জাবের মাটিতে পা দেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি হরমন্দির সাহিবেও শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পঞ্জাব কংগ্রেসের একাধিক তাবড় নেতা। সেখানে লঙ্গারে অংশ নেন রাহুল ও বাকি কংগ্রেস নেতারা। উল্লেখ্য, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হবে। আর তা ঘিরেই চলছে শেষ মুহূর্তের রাজনৈতিক প্রস্তুতি।