মোদীর সফরের সময় বাংলাদেশে চরমপন্থী ইসলামিদের তাণ্ডব ছিল সুপরিকল্পিত। সেদেশের সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশেই তাণ্ডবের নির্দেশ দিয়েছিল হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব। গ্রেফতারির পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফাজতে ইসলামের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা এমনই জানিয়েছেন বলে দাবি বাংলাদেশ পুলিশের। একাধিক হেফাজত নেতাকে গ্রেফতারের পর জেরায় সেদেশের পুলিশ আরও জানতে পেরেছে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশেও তালিবানি শাসন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ছিল হেফাজতে ইসলামের।
২৬ মার্চের হিংসার পর থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের লাগাতার গ্রেফতার করতে শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ত্রিপুরা লাগোয়া বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় হেফাজতে ইসলামের সহকারী প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া খানকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ এক প্রেস বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, জেরায় জাকারিয়া জানিয়েছে, ‘হাসিনা সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করেই হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। তাণ্ডবে নেতৃত্ব দেন হেফাততে ইসলামের স্থানীয় নেতারা।’
দেশবিরোধী কাজের অভিযোগে ইতিমধ্যে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৬৯ জন হেফাজত নেতাকে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার হয়েছে ৯ জন। লাগাতার গ্রেফতারির মুখে রবিবার রাতেই হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়েছেন সংগঠনের প্রধান জুনায়েদ বাবুনগরী।
গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর চলাকালে ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম নামে একটি চরমপন্থী ইসলামি সংগঠন। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলে তাণ্ডব। তাণ্ডব ঠেকাতে গুলি চালায় সেদেশের পুলিশ। তাতে অন্তত ৮ জন তাণ্ডবকারীর মৃত্যু হয়।