পয়লা অক্টোবর অবধি চলার কথা ছিল সংসদের বাদল অধিবেশন। কিন্তু যে ভাবে সাংসদদের মধ্যে করোনা ছড়াচ্ছে, ঝুঁকি নিল না কর্তৃপক্ষ। আট দিন আগেই তাই পৃথক ভাবে মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভা ও রাজ্যসভা।
অভুতপূর্ব পরিস্থিতিতে প্রচুর সতর্কতা নিয়েই এবার অধিবেশন হয়। ব্যাচে ব্যাচে চলে রাজ্যসভা ও লোকসভার কাজ। সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের জন্য অনেক রাজ্যসভার সদস্য বসে ছিলেন লোকসভায়। একই ভাবে নিম্ন কক্ষের অনেকে উচ্চ কক্ষে বসেছিলেন। গ্যালারিতেও জায়গা হয়েছিল অনেকের।
মাস্ক ও ফেস শিল্ড ছাড়াও ছিল ফাইবার গ্লাসের বেষ্টনি প্রতিটি সারির সামনে। বসেই নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন সাংসদরা। অল্প কয়েকদিনের অধিবেশনে কৃষি ও শ্রম সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু আইন পাশ হয়ে সংসদে। কৃষি বিল পাশ হওয়া নিয়ে হাঙ্গামার জেরে সাসপেন্ড হন আটজন বিরোধী সাংসদ। তার প্রতিবাদে রাজ্যসভা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় বিরোধীরা। সরকার অবশ্য সেই সুযোগে বেশ কিছু বিল পাশ করিয়ে নেয়।
এইভাবে ফাঁকা কক্ষে বিল পাশ হওয়াটা কাঙ্খিত নয় বলেও রাজ্য়সভার চেয়ারম্যান নাইডু বলেন যে কোনও কাজ না হলে সেটাতে বয়কট একটা বৈধতা পেয়ে যেত বিল রোখার প্রক্রিয়া হিসেবে। রাজ্যসভায় ১০০ শতাংশ প্রডাক্টিভিটি ছিল।
অন্যদিকে লোকসভায় ছিল ১৬৭ শতাংশ প্রডাক্টিভিি। সেখানে ২৫টি বিল পাশ হয়েছে দশ দিনে। সংসদের দুই কক্ষেই চিন নিয়ে কেন্দ্রের মতামত স্পষ্ট করে রাখেন রাজনাথ সিং। কোনও ভাবেই ভারত যে ঝুঁকবে না, সেই বার্তা দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এদিন লোকসভার কাজ শেষ হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।