ভিলাইতে অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। স্টিল সিটি ভিলাইতে যে ঘটনা ঘটেছে তা কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে এলাকায়। সূত্রের খবর, ওই মহিলা রাতদিন ফোনে ব্যস্ত থাকতেন। সব সময় ফোনে বুঁদ হয়ে থাকতেন তিনি। এর জেরে মাঝেমধ্য়েই রাগ করতেন স্বামী। কিন্তু তারপরেও ওই মহিলা কথা শুনতেন না বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, ভূপেন্দ্র সাহু নামে এক শ্রমিকের স্ত্রী হলেন রচনা সাহু। ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ মিলেছে। পরে পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ রচনার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই ওই মহিলার স্বামীকে জেরা করেছে। জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ৬ বছর হল তাদের বিয়ে হয়েছে। তাদের ৫ বছর বয়সি একটি মেয়েও রয়েছে। শুক্রবার বিকালে ওই ব্যক্তি রচনার কাছ থেকে স্মার্টফোনটি নিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও ভূপেন্দ্রর মা, বৌদি ও বাচ্চারা ছিল। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ভূপেন্দ্রর কাছে ফোন যায় যে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
ভূপেন্দ্র পুলিশকে জানিয়েছে যে রচনা রাতদিন ফোনে ব্যস্ত থাকত। বললেও শুনত না। বাচ্চার যত্ন নিত না। রাতদিন ফোন আর ফোন। ঘরের কাজকর্মও কিছু করত না। মানে একেবারে ফোন ছাড়া কিছু বুঝত না রচনা। এনিয়ে বাড়িতে অশান্তিও হত। কিন্তু তবুও ফোনের নেশা থেকে বের হতে পারত না।
এমনকী রিলস বানাতেন রচনা। ইনস্টাগ্রামেও নানা ধরনের ছবি, ভিডিয়ো দিতেন। এসব নিয়েই রাতদিন পড়ে থাকতেন। বাড়ির কোনও কাজ করতেন না বলে স্বামীর দাবি। এনিয়ে অশান্তি হত মাঝেমধ্য়েই। ফোনের নেশা থেকে বের হওয়ার জন্য স্বামী বার বারই বলতেন স্ত্রীকে। কিন্তু তিনি শুনতে চাইতেন না। এর জেরেই যত অশান্তি।
এদিকে ঘটনার সময় রচনা দোতলার ঘরে ছিলেন। তিনি একাই ছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে হয়তো অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।