হায়দরাবাদ শহরের নাম পরিবর্তন করে ভাগ্যনগর করার সমর্থনে জোরদার প্রচারে নামলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
গ্রেটার হায়দরাবাদ পুর নিগম নির্বাচনের প্রচারে এসে শনিবার হায়দরাবাদের মালকাজগিরি কেন্দ্রে এক পথসভায় আদিত্যনাথ বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করেন, হায়দরাবাদের নাম ভাগ্যনগর রাখা যায় কি না। আমি বলছি, কেন নয়? আমি তাঁদের বলি, আমরা ইতিমধ্যে ফৈজাবাদের নাম পালটে অযোধ্যা রেখেছি। উত্তর প্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে এলাহাবাদের নাম হয়েছে প্রয়াগরাজ। তা হলে হায়দরাবাদের নাম কেন ভাগ্যনগর রাখা যাবে না?’
পথসভার ভাষণে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের বিহারের বিধায়ক আখতারুল ইমানের ‘হিন্দুস্তান’ শব্দ উচ্চারণে আপত্তি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন যোগী। তাঁর কথায়, ‘বিহারে এআইএমআইএম-এর এক নবনির্বাচিত বিধায়ক শপথ গ্রহণের সময় হিন্দুস্তান শব্দ উচ্চারণে আপত্তি জানিয়েছেন। ওরা হিন্দুস্তানে বসবাস করবে অথচ হিন্দুস্তানের নামে শপথ নিতে ইতস্তত করবে। এতেই এআইএমআইএম-এর আসল চেহারা দেখা যাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এআইএমআইএম বিধায়ক ইমান বলেছিলেন, ‘সংবিধান মেনে শপথ নেওয়া হয় এবং সেখানে সব জায়গায় ভারত শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। আমি জানতে চাই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হিন্দুস্তান বলা যাবে না কি ভারত শব্দটি বলতে হবে। আমরা জনপ্রতিনিধি। আমাদের সবার উপরে সংবিধানকে রাখতে হবে। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি।’
অন্ধ্র প্রদেশের শাসকদল তেলাঙ্গনা রাষ্ট্রিয় সমিতির (টিআরএস) বিরুদ্ধে আক্রমণ হেনে যোগী বলেন, ‘টিআরএস ও এআইএমআইএম-এর বিষাক্ত জোট হায়দরাবাদের উন্নয়ন রোধ করছে। এখানে প্রতিটি নাগরিকের মন খারাপ। মানুষকে ন্যূনতম পরিষেবা দিতে ও রাজ্যের উন্নয়ন ঘটাতে ব্যর্থ সরকার ও পুর নিগমে দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।’
পুর নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মোদী সরকারের একাধিক জনহিতকর প্রকল্পেরও উল্লেখ করেন আদিত্যনাথ।
উল্লেখ্য, আগামী ১ ডিসেম্বর হায়দরাবাদ পুরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৪ ডিসেম্বর।