সহকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা অফিসারকে পোহাতে হয় 'টু ফিঙ্গার টেস্টে'র যন্ত্রণা। উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' নিষিদ্ধ করেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে নির্যাতিতার তা জানা ছিল না। তবে এই বিষয়ে পরে তিনি জানতে পারলে এফআইআরে তাঁর অভিযোগ জানান। এই বিষয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে এয়ার চিফ মার্শালকেও চিঠি লিখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। কিন্তু এই বিষয়টি কেন নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট?
২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার উপর 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' তাঁর গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করে। সরকারকে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে অন্য উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করতে বলে। বিচারপতি বিএস চৌহান এবং বিচারপতি এফএমআই কালিফউল্লার একটি বেঞ্চ বলেছিল, টু ফিঙ্গার টেস্টের রিপোর্ট যদি পজিটিভ হয়, তা এটা প্রমাণ করে না যে সম্মতি নিয়ে বা বিনা সম্মতিতেই যৌন সঙ্গম হয়েছিল।
বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, 'নিসন্দেহে, টু ফিঙ্গার টেস্ট ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার গোপনীয়তা, শারীরিক ও মানসিক সততা এবং মর্যাদার অধিকার লঙ্ঘন করে। এমনকি যদি রিপোর্টটি পজিটিভও হয়, তাতেও প্রকৃতপক্ষে এটা নিশ্চিত করা যাবে না, সম্মতি নিয়ে বা বিনা সম্মতিতেই যৌন সঙ্গম হয়েছিল।'
এদিকে নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, গত ৯ সেপ্টেম্বর অবচেতন অবস্থায় তাঁকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। অভিযোগকারিণীর ব্যাচমেটও পুরো বিষয়টি জানেন। এই বিষয়ে পরের দিন অভিযুক্তের বয়ান ভিডিয়ো রেকর্ড করে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। নির্যাতিতাকে 'ভবিষ্যতের কথা' ভেবে অভিযোগ তুলে নিতে বলেন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। পরে টু ফিঙ্গার টেস্ট হয় তাঁর। পরে সিনিয়রদের তরফে জানানো হয় যে তাঁর টু ফিঙ্গার টেস্টের ফল নেগেটিভ আসে। এরপরই নির্যাতিতা পুলিশে অভিযোগ জানান।