কেউ চাইলে যাতে করোনা পরীক্ষা করতে পারে, তার জন্য রাজ্যদের ব্যবস্থা করতে হবে, বলে অ্যাডভাইসরি দিল আইসিএমআর। তবে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়নি, রাজ্যদের ওপর ছাড়া হয়েছে কে কেমন ভাবে টেস্ট করাবে। বিশেষত যারা বাইরে যাচ্ছেন বা অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন, যেখানে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে, সেখানে চাইলেই যাতে টেস্ট হয়, তার ব্যবস্থা করতে রাজ্যদের অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।
কনটেনমেন্ট জোনে যারা আছেন, সেখানকার সবার অ্যান্টিজেন টেস্ট করা উচিত বলেও সমস্ত রাজ্য প্রশাসনকে সুপারিশ করেছে আইসিএমআর। কোভিড টেস্ট হয়নি বলে ডেলিভারি সহ কোনও আপৎকালীন চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না, সাফ জানিয়ে দিয়েছে আইসিএমআর। গর্ভবতী মহিলাদের ফেরানো যাবে না টেস্টিং ব্যবস্থা নেই এই বলে।
এছাড়াও মাঝে আরটি পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল যে কোন পরিস্থিতিতে কোনটা করা উচিত। সেই নিয়েও এবার উত্তর মিলেছে।
কনটেনমেন্ট জোনে ও কোনও প্রবেশিকা পথে স্ক্রিনিংএর জন্য অ্যান্টিজেন টেস্ট করলেই চলবে বলে মনে করে আইসিএমআর। এদের মধ্যে যারা বয়স্ক মানুষ, তাদের পরীক্ষা করার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তবে পুরো ১০০ শতাংশ পরীক্ষা করতে পারলে ভালো বলে মনে করে আইসিএমআর।
নন কন্টেনমেন্ট জোনে যাদের লক্ষণ নেই, কিন্তু তারা হাই রিস্কে আছেন, তাদের জন্য অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়েছে। যাদের শরীরে করোনার লক্ষণ আছে, তাদের জন্য অবশ্য আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা উচিত, বলে জানানো হয়েছে।
হসপিটালেও যে রোগীদের করোনা থাকার সম্ভাবনা আছে বা যারা হাই রিস্ক পেশেন্ট, তাদের পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। যে সব মায়েরা করোনা পজিটিভ তাদের মাস্ক পরতে বলা হয়েছে ও বারবার হাত ধুতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাচ্চাদের ধরার সময়। এ ছাড়াও বাচ্চাদের স্তন্যদুগ্ধ দেওয়ার সময় বিশেষ সতর্কতা পালন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
করোনা পরীক্ষার পর সুস্থ হয়ে গেলে ফের পরীক্ষা করার দরকার নেই বলেই জানিয়েছে আইসিএমআর। যদি নেগেটিভ টেস্টের পরেও ফের লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে ফের টেস্ট করার সুপারিশ করা হয়েছে ।