ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ওমর আবদুল্লা। বুধবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, যখন ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর সংযুক্ত হয়েছিল, তখন সব ধর্মকে একইরকমভাবে গুরুত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি ধর্মকে প্রাধান্য দেওয়া হবে জানলে হয়ত ভারতের হাত ধরত না জম্মু ও কাশ্মীর।
সম্প্রতি হনুমান চালিশা ও আজাদ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সংবাদসংস্থা এএনআইকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা বলেন, ‘এই ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর যুক্ত হয়নি। আমরা সেই ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম, যেখানে প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে একই চোখে দেখা হবে। আমাদের এটা বলা হয়নি যে একটি ধর্মকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাকি ধর্মগুলির উপর ছড়ি ঘোরানো হবে। আমাদের এটা বলা হলে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়ত অন্য কিছু হত। আমরা সেইসময় ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কারণ আমাদের বলা হয়েছিল যে প্রতিটি ধর্মকে সমান চোখে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন: Article 370: ৩৭০ ধারা বাতিলের মামলাগুলির শুনানি হবে গরমের ছুটির পর, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
স্বাধীন ভারত এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাস
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করলেও সেইসময় ভারতের অংশ ছিল না জম্মু ও কাশ্মীর। স্বাধীন রাজ্য হিসেবে ছিল। পরবর্তীকালে ২৬ অক্টোবর ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশনের’ মাধ্যমে ভারতে যোগ দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর।
ভারত যখন স্বাধীনতা লাভ করেছিল, তখন স্বাধীন রাজ্য হিসেবে ছিল জম্মু ও কাশ্মীর। মুসলিম-অধ্যুষিত রাজ্যের রাজা ছিলেন হরি সিং। তারইমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ দখল করে নিয়েছিল পাকিস্তানের বাহিনী। সেইসময় ভারতের সাহায্য চেয়েছিলেন হরি সিং। তবে সাহায্যের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিল ভারত। সাফ জানানো হয়েছিল, যতদিন না খাতায়কলমে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ হচ্ছে, ততদিন সামরিক সাহায্যের ক্ষেত্রে হাত-পা বাঁধা আছে দিল্লির। সেই পরিস্থিতিতে ২৬ অক্টোবর ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন’-এ স্বাক্ষর করেছিলেন হরি সিং। পরদিনই শ্রীনগরে পৌঁছে গিয়েছিল ভারতীয় বাহিনী। দু'সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানের বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছিল।