ইভিএম নিয়ে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নানা অভিযোগ রয়েছে। এমনকী সেখানে চিপ বসিয়ে রাখা হয় কি না সেটা দেখার জন্যও বলেছেন তিনি। তবে ইতিমধ্য়েই ভারতের মুখ্য়নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার অবশ্য় জানিয়ে দিয়েছেন, ইভিএম ১০০ শতাংশ নিরাপদ।
আর এবার এই ইভিএম নিয়ে কী বললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান? ইমরান জানিয়েছেন, যদি ইভিএম থাকত আমাদের দেশে তবে এই সব রিগিংয়ের সমস্যাটা একঘণ্টায় মিটে যেত। ডনের রিপোর্টে তেমনটাই বলা হয়েছে।
আদিয়ালা জেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইমরান বলেন, যদি আজ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন থাকত তবে ওই রিগিংয়ের সমস্যা একঘণ্টায় মিটে যেত। সোস্য়াল মিডিয়ায় পাক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরানের এই বক্তব্যটাই সামনে এনেছে পিটিআই।এদিকে ইমরান খানের দাবি, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ও কিছু রাজনৈতিক দল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা সেটা বাস্তবে রূপ দিতে চায়নি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইমরান জানিয়েছেন, ভোটে জনতার রায়কে যারা সামনে আনতে দিল না, সেখানে কারচুপি করল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এমনটাই জানিয়েছেন ইমরান খান।
তবে সেনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনা থেকে তিনি দূরত্ব রাখার চেষ্টা করেন। ইমরান খান দাবি করেন যে তাঁর দল ৩০ মিলিয়ন ভোট পেয়েছিল। আর বাকি ১৭টি দল সব মিলিয়ে সেই সংখ্য়ক ভোট পেয়েছিল। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন তার দল আইএমএফের কাছে গোটা এই অনিয়মের বিষয়টা জানাবে।
ইমরানের দাবি, আমাদের দলকে ষড়যন্ত্র করে প্রথমে প্রতীক দেওয়া হচ্ছিল না। এরপর সংরক্ষিত আসনও দেওয়া হল না। তবে ইমরান খানের আশঙ্কা তোষাখানা মামলায় তিনি জামিন পেলেও আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় তাকে অভিযুক্ত করে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। সেই সঙ্গেই পাকিস্তানের অর্থনীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতি পাক সরকার বেশিদিন টিকবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।